ফুটবলে মারামারি নিত্যদিনের ঘটনা। সামান্য কারণেও বিভিন্ন সময়ে মেজাজ হারাতে দেখা যায় ফুটবলারদের। কোচরাও মাঝেমধ্যেই জরিয়ে পড়েন বিবাদে। শুধু তাই নয়, দর্শকদের মাঝেও ঝগড়া বা মারামারি দেখা যায় হরহামেশাই। কিছুদিন আগেও আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের সুপার ক্লাসিকো ম্যাচে দর্শকদের মারামারির ঘটনা হতবাক করেছিল বিশ্ব ফুটবলের সবাইকে।
তবে এবার খেলোয়াড়, কোচ বা সমর্থক নয় খোদ একটা ক্লাবের সভাপতি খোদ জড়িয়েছেন মারামারিতে। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) তুরস্কের সুপার লিগের এক ম্যাচে ঘটে এমন ঘটনা। আর এর জেরে বন্ধই হয়ে গিয়েছে টার্কিশ ফুটবল লিগ। এমনকি এই ঘটনায় মুখ খুলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এক্সে এক বার্তায় এরদোয়ান লিখেছেন ‘খেলাধুলা হলো শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক। সহিংসতার সঙ্গে খেলাধুলা যায় না। তুরস্কের ক্রীড়াঙ্গনে সহিংসতা বরদাশত করা হবে না।’
After Ankaragucus 1-1 draw with Rizespor in Turkey, this happened. Ban this guy for life already! At the end of the day football is there to unite people. Turkish federation already postponed the league until further notice. Disgusting, brutal. pic.twitter.com/sFP7IV9jOM
— Hodzey (@Hodzey) December 11, 2023ন্যক্কারজনক এ ঘটনাটি ঘটে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় আঙ্কারাগুজুরের বিপক্ষে রিজেসপোরের ম্যাচে। দুই দলের ম্যাচও শেষ হয় ১-১ গোলে ড্র দিয়ে। এরপরই ঘটে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আঙ্কারাগুজু ক্লাবের প্রধান ফারুক কোজা হঠাৎ করেই রেফারি হালিল উমুত মেলেরের মুখে ঘুষি মারেন। সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে পড়ে যান রেফারি। ফুলে যাওয়া বাঁ চোখ নিয়ে মাঠ ছাড়েন রেফারি। রেফারিকে একপর্যায়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় তুরস্ক ফুটবল ফেডারেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে তুরস্কের শীর্ষ ফুটবল লিগটিকে।
তুরস্ক ও উয়েফার অন্যতম সেরা এই রেফারি মারধরের শিকার হওয়ার পর তুরস্ক ফুটবল ফেডারেশন (টিএফএফ) লিগ বন্ধ করে দেয়। রাষ্ট্রীয়ভাবে এই ঘটনার আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন তুরস্কের ফুটবলার থেকে শুরু করে ফুটবল সমর্থকরাও।
মন্তব্য করুন