ফুটবলের দেশ ব্রাজিল। দেশটির পাড়া-মহল্লায় নামলেই দেখা যায় ফুটবল নিয়ে মেতে আছেন ব্রাজিলিয়ানরা। ফুটবল নিয়ে কত-শত রথী-মহারথীর জন্ম হয়েছে লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে তার ইয়ত্তা নেই। পেলে, কাফু, কার্লোস, কাকা, রোনালদো, রোনালদিনহো, রোমারিও কিংবা হালের নেইমার জুনিয়র কিংবা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রদের চেনে না এমন কেউ নেই।
লাতিন আমেরিকার দেশটিতে এতসংখ্যক ফুটবলার তৈরি হয়েছে যে কারণে খেলোয়াড় বেচাকেনার বাজারেও এগিয়ে তারা। এ বছরও ফুটবলার ‘আমদানি-রপ্তানি’তে সবার শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা জানিয়েছে এই তথ্য। সংস্থাটির হিসাব অনুসারে— এবার খেলোয়াড় ‘আমদানি-রপ্তানি’তে সবার ওপরে ছিল সর্বোচ্চ পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
খেলোয়াড় কেনায় ব্রাজিল এগিয়ে থাকলেও, সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে ২০১৮ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। অন্যদিকে, খেলোয়াড় বিক্রি করে যথারীতি আগের বছরের চেয়ে অনেক বেশি আয় হয়েছে ব্রাজিলের।
ফিফা বলছে, সর্বশেষ শীতকালীন দলবদলে বাইরে থেকে ব্রাজিলে খেলতে গেছেন ৪০৯ জন ফুটবলার, যা ফিফার সদস্যদেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। এসব খেলোয়াড় কিনতে ব্রাজিলকে খরচ করতে হয়েছে ১২ কোটি ২৬ লাখ ডলার। জানুয়ারিতে সবমিলিয়ে ২৪৯ জন খেলোয়াড় বিক্রি করেছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলো। ফুটবলার বিক্রি করে আয়েও সবার ওপরে আছে ক্লাবটি। এই খাত থেকে ব্রাজিলে এসেছে ২৫ কোটি ১২ লাখ ডলার, যা কিনা আগের বছরের দ্বিগুণের বেশি ।
তবে খেলোয়াড় সংখ্যার দিক থেকে সবার ওপরে থাকলেও অর্থের অঙ্কে ব্রাজিলের অবস্থান পঞ্চম। খরচে সবার ওপরে আছে ফ্রান্স। ১১৪ খেলোয়াড় কিনতে দেশটির ক্লাবগুলো খরচ করেছে ২৯ কোটি ১৯ লাখ ডলার, যা কিনা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২১ শতাংশ বেশি। দুইয়ে থাকা পর্তুগাল খেলোয়াড় কিনেছে ২৫২ জন। এতে দেশটির ক্লাবগুলো ৪ কোটি ১৫ লাখ ডলার খরচ করেছে।
খেলোয়াড় কেনায় তিনে আছে ব্রাজিলের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা। ২২৬ জন খেলোয়াড় কিনতে দেশটির খরচ ৪ কোটি ১০ লাখ ডলার। তবে আলবিসেলেস্তেরা খেলোয়াড় বিক্রিতে ব্রাজিলকে টপকাতে পারেনি। লিওনেল মেসিদের দেশ দলবদলে খেলোয়াড় বিক্রি করেছে ২৪৮ জন। আয়ের দিক থেকে অবশ্য তাদের অবস্থান চারে। তারা ১০ কোটি ৯৩ লাখ ডলার আয় করেছে।
মন্তব্য করুন