দীর্ঘ ফুটবল ক্যারিয়ারের ক্লাব ও দেশের জার্সিতে ৮০০-এর বেশি গোল করেছেন লিওনেল মেসি। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলকে জিতিয়েছেন বহুবার। এনে দিয়েছেন ট্রফি। ভেঙেছেন বহু রেকর্ড।
এত গোলের মাঝে নিজের সেরা গোল বেছে নেওয়ার সত্যিই অনেক কঠিন। তবে এই কঠিন কাজটি খুব সহজেই করেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। নিজের করা ৮০০-এর বেশি গোলের মাঝে থেকে সেরা দুটি গোল বেছে নিয়েছেন মেসি।
আর্জেন্টাইন এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের প্রিয় দুটি গোল কথা জানান তিনি। সবচেয়ে প্রিয় দুটি গোলের মধ্যে একটি হচ্ছে ২০১১ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে করা লক্ষ্যভেদটি।
ইউরোপ সেরার মঞ্চে এল ক্লাসিকোতে রিয়ালের বিপক্ষে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে জোড়া গোল করেছিলেন মেসি। শেষ পর্যন্ত ফাইনালে উঠেছিল বার্সেলোনা। সেবার শিরোপাও জিতেছিল কাতালান ক্লাবটি। সেরা গোলের তালিকায় সেই গোলটিকে রেখেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
২০২২ সালে কাতারে ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। সর্বজয়ী মেসির হাতে অবশেষে ওঠে বিশ্ব আসরের সোনালি ট্রফি। পেয়ে যান কিংবদন্তির খেতাব।
Leo Messi: "My favorite goal? Most beautiful is the one against Real Madrid in 2011, and the most important in the World Cup final. @arevalo_martin pic.twitter.com/GvTcHpPJ2H — All About Argentina (@AlbicelesteTalk) June 12, 2024
মেসির প্রিয় গোলের তালিকায় স্থান পেয়েছে বিশ্বকাপের ফাইনালে করা তার দ্বিতীয় গোলটি। যেটিতে ৩-৩ গোলের সমতায় ফেরে আর্জেন্টিনা। এতে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকে। সেখান থেকে বিশ্বকাপের ট্রফি জেতে আর্জেন্টিনা।
সামনে প্যারিস অলিম্পিক। ফুটবল ইভেন্টে খেলবে আর্জেন্টিনা। গুঞ্জন উঠেছিল এই টুর্নামেন্টে মেসির অংশগ্রহণের। তবে কিছুদিন আগে জানিয়েছিলেন অলিম্পিকে খেলবেন না তিনি। এবার না খেলার কারণ ব্যাখ্যা করেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক।
মেসি বলেন, ‘কোপার মাঝে অলিম্পিক নিয়ে ভাবা কঠিন। টানা দু’তিন মাস, তাহলে ক্লাবের হয়ে খেলা হবে না। আর সেই সঙ্গে আমার বয়স বাড়ছে। এখন আর এত প্রতিযোগিতা খেলা সম্ভব হবে না। আমাকে বেছে খেলতে হবে। পর পর দুটি প্রতিযোগিতা খেলা সম্ভব নয়।'
এর আগেও মেসি অলিম্পিকের স্বর্ণ জিতে ছিলেন। কাজেই এর মর্যাদা তার ভালোই জানা। তাই তো তিনি বলেন, ‘অলিম্পিক বা অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে খেলার সময়গুলো ভুলব না। আশা করব সব ফুটবলার উপভোগ করে খেলবে। যেমন আমরা উপভোগ করে খেলতাম। এমন অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যাওয়াটাই একটা দারুণ ব্যাপার। অলিম্পিক খুবই স্পেশ্যাল। বাকি প্রতিযোগিতার থেকে আলাদা।’
মন্তব্য করুন