কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম
আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৪:২৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সমুদ্রের অতলে তৈরি হচ্ছে অক্সিজেন, হতবাক বিজ্ঞানীরা!

সমুদ্রের অতলে পাথরখণ্ড থেকে তৈরি হচ্ছে অক্সিজেন। ছবি : সংগৃহীত
সমুদ্রের অতলে পাথরখণ্ড থেকে তৈরি হচ্ছে অক্সিজেন। ছবি : সংগৃহীত

মনে করা হতো, শুধু উদ্ভিদ এবং শৈবালসহ সালোকসংশ্লেষী প্রাণীরাই পৃথিবীতে অক্সিজেন তৈরি করতে পারে। কিন্তু, পৃথিবীর গভীর-সমুদ্রতলে, যেখানে সূর্যের আলো পৌঁছতে পারে না, সেখানে কি অক্সিজেন তৈরি হতে পারে? এতদিন পর্যন্ত এর উত্তর ছিল, না। কিন্তু, এতদিনের এই ধারণা পাল্টে দিল এক সাম্প্রতিক গবেষণা।

গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, গভীর সমুদ্রের তলদেশে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪০০০ মিটার নিচে সম্পূর্ণ অন্ধকারে ধাতব খনিজের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তৈরি হচ্ছে রহস্যময় ‘ডার্ক অক্সিজেন’ বা ‘অন্ধকার অক্সিজেন’।

সম্প্রতি, নেচার জিওসায়েন্স জার্নালে ‘অতল সমুদ্রতলে অন্ধকার অক্সিজেন উৎপাদনের প্রমাণ’ নামে এক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। এ গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, সালোকসংশ্লেষ ছাড়াও অন্য উপায়েও অক্সিজেন তৈরি হয় এই পৃথিবীতে।

আন্তর্জাতিক গবেষকদের এ দলটি আবিষ্কার করেছে, প্রাণের সম্পৃক্ততা ছাড়াই সেখানে অক্সিজেন তৈরি হচ্ছে। আর সেই অক্সিজেন টিকিয়ে রেখেছে গভীর সামুদ্রিক জীবনকে, যারা সম্পূর্ণ অন্ধকারে বেঁচে থাকে।

তবে, এই ‘অন্ধকার অক্সিজেনে’র সন্ধান অনেক আগেই পাওয়া গিয়েছিল। ২০১৩ সালে, প্রশান্ত ফিল্ডওয়ার্কে গিয়েছিলেন স্কটিশ অ্যাসোসিয়েশন ফর মেরিন সায়েন্সের বিজ্ঞানী, অ্যান্ড্রু সুইটম্যান। ফিল্ডওয়ার্কের সময়, সুইটম্যান এবং তার সহযোগীরা ক্লারিওন-ক্লিপারটন জোনে সমুদ্র-তলের ইকোসিস্টেমগুলো অধ্যয়ন করছিলেন। এই স্থানে, প্রাকৃতিকভাবে সমুদ্রের তলদেশে বেড়ে ওঠা খনিজ আমানত আছে বলে মনে করা হয়। সে খনিজের সন্ধানে গিয়েছিলেন তারা। সেখানেই তারা আবিষ্কার করেন ‘ডার্ক অক্সিজেন’।

তারা দেখেন, কালো এবং গোল গোল পাথরখণ্ড থেকে তৈরি হচ্ছে অক্সিজেন। প্রথমে তারা ভেবেছিলেন, তাদের যন্ত্রপাতিতেই কিছু ভুল আছে। সুইটম্যান জানিয়েছেন, এই গ্রহে অক্সিজেন তৈরি করে একমাত্র সালোকসংশ্লেষী জীবরাই, এমনটাই জানতেন তারা।

কিন্তু বিজ্ঞানীরা দেখেন, প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝখানে কালো এবং বৃত্তাকার পাথর থেকে অক্সিজেন উৎপন্ন হচ্ছে। যন্ত্রের ত্রুটি দূর করতে তারা বিকল্প যন্ত্রপাতি নিয়ে আবারও যান সেখানে। গত ১০ বছর ধরে সব যন্ত্রেই তারা ওই অদ্ভুত অক্সিজেনের সন্ধান পেয়েছিলেন। এরপর আর বাস্তবতাকে অস্বীকার করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।

সুইটম্যান বলেছেন, এখন আমরা জানি, গভীর সমুদ্রেও অক্সিজেন উৎপন্ন হয়। যেখানে কোনো আলো নেই। আমি মনে করি, বায়বীয় জীবন কোথায় শুরু হতে পারে, আমাদের এই প্রশ্নগুলো পুনরালোচনা করা দরকার।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ময়মনসিংহে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেত্রী রুমা গ্রেপ্তার

জবি প্রতিনিধি / জকসু নির্বাচনের সময়সূচি পুনর্বিবেচনার দাবি জবি ছাত্র অধিকার পরিষদের

ইসির সামনে আমরণ অনশনে তারেক

বিএনপির প্রার্থী তালিকা থেকে একজনের নাম স্থগিত

চাচাকে বাবা বানিয়ে কোটায় বিসিএস ক্যাডার, পরিচয় নিশ্চিতে যে পদক্ষেপ নিচ্ছে দুদক

৯০ বার পেছাল রিজার্ভ চুরি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন 

‘জ্যোতি ছোটবেলা থেকেই উল্টাপাল্টা কাজ করত’

‘শাপলা কলি’ প্রতীকে নিবন্ধন পেয়ে যাদের অভিনন্দন জানালেন এনসিপি নেত্রী

গ্রেপ্তারের ১৫ দিনের মাথায় বর্ষার জামিন আবেদন, নামঞ্জুরের আদেশ

অনলাইন জুয়াড়ি দিপুসহ গ্রেপ্তার ৩

১০

‘তোমার জন্য স্ত্রীকে হত্যা করেছি’

১১

ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগে নিয়োগ দিচ্ছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স

১২

ডেঙ্গুতে একদিনে ৪ জনের মৃত্যু

১৩

জাবি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মামলা

১৪

প্রার্থী তালিকায় না থাকা যুবদলের নয়নের প্রতিক্রিয়া

১৫

সাগরে লঘুচাপ, ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে যেসব অঞ্চলে

১৬

দেশে তৈরি হয় এমন যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্কছাড়ে ঝুঁকির মুখে স্থানীয় ইলেকট্রনিক্স শিল্প খাত

১৭

জোবায়েদ হত্যা / অহেতুক হয়রানি করতে কোমলমতি বর্ষাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে : আইনজীবী 

১৮

সাংবাদিকতার ওপর আইজিসিএফের দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

১৯

চমক রেখে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা বিসিবির

২০
X