কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৩, ০৩:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মৃত মানুষের সঙ্গে কথা বলা যায় এই টেলিফোনে

অলিম্পিয়ার স্কুয়াক্সিন পার্কে স্থাপন করা উইন্ড টেলিফোন। ছবি: সংগৃহীত
অলিম্পিয়ার স্কুয়াক্সিন পার্কে স্থাপন করা উইন্ড টেলিফোন। ছবি: সংগৃহীত

মৃত মানুষের সঙ্গে কথা বলা যায় এমন একটি টেলিফোনের খোঁজ পাওয়া গেছে। শহর থেকে দূরে একটি গহিন বনের মধ্যে রয়েছে ফোনটি। নেই কোনো সংযোগ, তবুও সেই টেলিফোনে কথা বলার জন্য ছুটে আসছেন অনেকেই। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের অলিম্পিয়া এলাকায়।

ঘটনার শুরু হয় জাপানের ওটসুচি শহর থেকে। ২০১০ সালে ওই শহরের বাগান নকশাকার ইতারু সাসাকি প্রথম সংযোগবিহীন টেলিফোন বুথ তৈরি করেন। তার ধারণা, না বলা কথা বাতাসে ভেসে পৌঁছে যাবে মারা যাওয়া প্রিয়জনের কাছে। সেই ধারণা থেকেই এর নামকরণ দেওয়া হয় ‘উইন্ড ফোন’।

এর ঠিক পরের বছর ২০১১ সালে জাপানের তোহোকু শহরে ভূমিকম্প ও সুনামিতে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ মারা যায়। এরপর থেকে এই টেলিফোনটি জনপ্রিয়তা পায়। কারণ, তখন হাজারো মানুষ প্রতিদিন এই ফোনে কথা বলার জন্য ভিড় করত। এ ঘটনা নিয়ে একাধিক উপন্যাস ও চলচ্চিত্রও তৈরি হয়েছে।

জাপানের এ ধারণা থেকে ২০২০ সালে কোরে ডেমবেক নামে এক ব্যক্তি অলিম্পিয়ার স্কুয়াক্সিন পার্কে উইন্ড ফোনটি স্থাপন করেন। কারণ, তার এক বন্ধুর মেয়ে চার বছর বয়সে হঠাৎ মারা যান। মেয়ের মৃত্যুর শোকে তার বন্ধু পাগলপ্রায় হয়ে যায়। তাকে সান্ত্বনা দিতেই একটা পুরোনো ফোন কিনে এনে পার্কের গাছের সঙ্গে বেঁধে দেন তিনি। তার বন্ধুকে বলেন, ‘এই ফোনে তুমি তোমার মেয়েকে না বলা কথাগুলো বলতে পার। হয়তো মন কিছুটা শান্ত হবে।’

ওই মেয়েটির নাম ছিল জোয়েল রোজ সিলভেস্টার। তার স্মরণেই পরে আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুয়াক্সিন পার্কে একটি ফোন বুথ বসানো হয়। ওই বুথের সামনে একটি ফলকে লেখা আছে ‘যারা কখনো না কখনো কোনো প্রিয়জন হারিয়েছেন, এই ফোন তাদের জন্য। এর মাধ্যমে আপনার হারানো বন্ধু বা স্বজনকে না বলা বার্তাটি পৌঁছে দিতে পারেন। বলতে পারেন বিদায়, যা হয়তো কখনো বলার সুযোগ পাননি।’

জোয়েলের মা এরিন সিলভাস্টার বলেন, ‘ফোনের ওপাশ থেকে তো আর মেয়ের কণ্ঠস্বর শোনা যায় না। তাই একা একা কথা বলতে গেলে আমার বুক ভেঙে যায়। তবু যখন কোনোভাবেই নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারি না, তখন এই ফোন বুথে আসি।’

জোয়েলের সঙ্গে কথা বলতে তার ভাই জেডেন, জোনাহ ও বোন জয়ও আসে। জোয়েলকে তারা কতটুকু ভালোবাসেন ও কতটা মিস করেন সেসব কথাই টেলিফোনে বলেন।

এভাবেই দূরদূরান্ত থেকে অনেক মানুষ ভিড় করেন এই ফোনের কাছে। এমনকি ডেমবেকের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে অনেকেই এমন ফোন বুথ স্থাপন করছেন।

সূত্র : রয়টার্স

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কবি নজরুল ছিলেন মুসলিম জাগরণের অগ্রদূত : ডা. ইরান

শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু মঞ্চ ও পোশাক কর্মশালা

এবার চতুর্থ সারির ক্লাবের কাছে হেরে ম্যানইউর বিদায়

ড. মাসুদের প্রচেষ্টায় দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেলো ৩ ইউনিয়নের মানুষ

বিশ্বকাপ দলে সুযোগ না পেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছেন বাংলাদেশ স্পিনার

রুমিন ফারহানার দুঃখ প্রকাশ

বৃহস্পতিবার প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা

ভারতে নিষিদ্ধ অনলাইন জুয়া, বড় ধাক্কায় আইপিএল ও ভারতীয় ক্রিকেট

পদক্ষেপ নিলে মনে হয় দেশেই থাকা হবে না : ডিসি মাসুদ

রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সভা

১০

ডিআরইউতে মঞ্চ ৭১–এর কর্মসূচি প্রত্যাহারের দাবি

১১

জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব অপরিহার্য: উপদেষ্টা

১২

কনভেনশন হলে গেরিলা বৈঠকে গ্রেপ্তার শিমুল ৪ দিনের রিমান্ডে

১৩

শাহবাগে এসে ডিএমপি কমিশনারের ‘দুঃখ প্রকাশ’

১৪

ইনকিলাব সম্পাদককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাল ছাত্রশিবির

১৫

বিএনপি নেতাকে কোপাল যুবলীগ নেতা

১৬

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সাক্ষী হাটহাজারী বিমানবন্দর

১৭

ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১৮

ডাকসু নির্বাচন / ১৩২ শিক্ষার্থীকে খাওয়ালেন প্রার্থী, রিটার্নিং কর্মকর্তা বললেন আচরণবিধি লঙ্ঘন

১৯

সাদাপাথর লুটপাট নিয়ে সিলেটে গণশুনানি

২০
X