রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৩, ০৩:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মৃত মানুষের সঙ্গে কথা বলা যায় এই টেলিফোনে

অলিম্পিয়ার স্কুয়াক্সিন পার্কে স্থাপন করা উইন্ড টেলিফোন। ছবি: সংগৃহীত
অলিম্পিয়ার স্কুয়াক্সিন পার্কে স্থাপন করা উইন্ড টেলিফোন। ছবি: সংগৃহীত

মৃত মানুষের সঙ্গে কথা বলা যায় এমন একটি টেলিফোনের খোঁজ পাওয়া গেছে। শহর থেকে দূরে একটি গহিন বনের মধ্যে রয়েছে ফোনটি। নেই কোনো সংযোগ, তবুও সেই টেলিফোনে কথা বলার জন্য ছুটে আসছেন অনেকেই। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের অলিম্পিয়া এলাকায়।

ঘটনার শুরু হয় জাপানের ওটসুচি শহর থেকে। ২০১০ সালে ওই শহরের বাগান নকশাকার ইতারু সাসাকি প্রথম সংযোগবিহীন টেলিফোন বুথ তৈরি করেন। তার ধারণা, না বলা কথা বাতাসে ভেসে পৌঁছে যাবে মারা যাওয়া প্রিয়জনের কাছে। সেই ধারণা থেকেই এর নামকরণ দেওয়া হয় ‘উইন্ড ফোন’।

এর ঠিক পরের বছর ২০১১ সালে জাপানের তোহোকু শহরে ভূমিকম্প ও সুনামিতে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ মারা যায়। এরপর থেকে এই টেলিফোনটি জনপ্রিয়তা পায়। কারণ, তখন হাজারো মানুষ প্রতিদিন এই ফোনে কথা বলার জন্য ভিড় করত। এ ঘটনা নিয়ে একাধিক উপন্যাস ও চলচ্চিত্রও তৈরি হয়েছে।

জাপানের এ ধারণা থেকে ২০২০ সালে কোরে ডেমবেক নামে এক ব্যক্তি অলিম্পিয়ার স্কুয়াক্সিন পার্কে উইন্ড ফোনটি স্থাপন করেন। কারণ, তার এক বন্ধুর মেয়ে চার বছর বয়সে হঠাৎ মারা যান। মেয়ের মৃত্যুর শোকে তার বন্ধু পাগলপ্রায় হয়ে যায়। তাকে সান্ত্বনা দিতেই একটা পুরোনো ফোন কিনে এনে পার্কের গাছের সঙ্গে বেঁধে দেন তিনি। তার বন্ধুকে বলেন, ‘এই ফোনে তুমি তোমার মেয়েকে না বলা কথাগুলো বলতে পার। হয়তো মন কিছুটা শান্ত হবে।’

ওই মেয়েটির নাম ছিল জোয়েল রোজ সিলভেস্টার। তার স্মরণেই পরে আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুয়াক্সিন পার্কে একটি ফোন বুথ বসানো হয়। ওই বুথের সামনে একটি ফলকে লেখা আছে ‘যারা কখনো না কখনো কোনো প্রিয়জন হারিয়েছেন, এই ফোন তাদের জন্য। এর মাধ্যমে আপনার হারানো বন্ধু বা স্বজনকে না বলা বার্তাটি পৌঁছে দিতে পারেন। বলতে পারেন বিদায়, যা হয়তো কখনো বলার সুযোগ পাননি।’

জোয়েলের মা এরিন সিলভাস্টার বলেন, ‘ফোনের ওপাশ থেকে তো আর মেয়ের কণ্ঠস্বর শোনা যায় না। তাই একা একা কথা বলতে গেলে আমার বুক ভেঙে যায়। তবু যখন কোনোভাবেই নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারি না, তখন এই ফোন বুথে আসি।’

জোয়েলের সঙ্গে কথা বলতে তার ভাই জেডেন, জোনাহ ও বোন জয়ও আসে। জোয়েলকে তারা কতটুকু ভালোবাসেন ও কতটা মিস করেন সেসব কথাই টেলিফোনে বলেন।

এভাবেই দূরদূরান্ত থেকে অনেক মানুষ ভিড় করেন এই ফোনের কাছে। এমনকি ডেমবেকের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে অনেকেই এমন ফোন বুথ স্থাপন করছেন।

সূত্র : রয়টার্স

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ড. ওবায়দুল ইসলামের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল

খালেদা জিয়ার আরোগ্য লাভের অপেক্ষায় কোটি জনতা : অপর্ণা রায়

ঢাকায় রুশ গণ-কূটনীতির শতবর্ষ উদযাপন

ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শক্তি ঐক্যবদ্ধ : মুফতি মোস্তফা কামাল

দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্দুকধারীদের নির্বিচার গুলি, শিশুসহ অন্তত ১২ জন নিহত

সুখে-দুঃখে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি শুভ্রার

ঘুষ নেওয়ার সংবাদ প্রকাশ / সাংবাদিককে গালি দিয়ে ভূমি কর্মকর্তা ফেসবুক পোস্ট

কুয়াশা নিয়ে যে তথ্য জানাল আবহাওয়া অফিস

নির্ধারিত সময়ের আগে অফিসে প্রবেশ, নারী কর্মীকে চাকরিচ্যুত করল কোম্পানি

শহীদ শিহাবের কবর জিয়ারতে জেলা এনসিপির নতুন কমিটির নেতারা

১০

২-৪টা আসনের জন্য কারও সঙ্গে জোট করব না : নুর

১১

‘আমাকে সাসপেন্ড করেন’ বলতে থাকা চিকিৎসককে অব্যাহতি

১২

বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার বিকল্প কেউ নেই : কায়কোবাদ

১৩

গণতন্ত্র উত্তরণে খালেদা জিয়ার বেঁচে থাকা জরুরি : অমিত

১৪

চিকিৎসায় অবিশ্বাস্য সাফল্য, ৩ দিনেই ক্যানসার থেকে সুস্থ হলেন নারী

১৫

‘টাইম টু টাইম’ শাশুড়ির স্বাস্থ্যের খোঁজ রাখছেন ডা. জুবাইদা

১৬

বিএনপি সবসময়ই ‘পলিটিক্স অফ কমিটমেন্টে’ বিশ্বাসী : রিজভী

১৭

বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করা হবে : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

১৮

মির্জা আব্বাসের আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ভিপি সাদিক কায়েম

১৯

‘দেশের অগ্রযাত্রায় প্রবাসী তরুণদের জ্ঞান-প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে যুক্ত করতে হবে’

২০
X