ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) ২০২৫-২৭ সেশনের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন আগামী ৩১ মে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংগঠনটিতে আবারও আওয়ামীপন্থি ব্যবসায়ীদের সংগঠিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো দাবি করছে, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যবসায়ী বর্তমানে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় পাল্টে ই-ক্যাবে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এতে করে গত বছর জুলাই-আগস্টে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের উদ্যোক্তাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
সূত্র মতে, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সাবেক সভাপতি শমী কায়সারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা ই-ক্যাবের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্রিয় হয়েছেন। এর পাশাপাশি বিএনপিপন্থি কয়েকজন নেতার সম্পৃক্ততার অভিযোগও উঠেছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণআন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী সরকারের পতনের পর শমী কায়সারের নেতৃত্বাধীন ই-ক্যাব কমিটির সদস্যরা একযোগে পদত্যাগ করেন। পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মুহাম্মদ সাঈদ আলীকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়।
গত ২২ এপ্রিল থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হওয়ায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, ‘বৈষম্যবিরোধী ই-ক্যাব’ ব্যানারের আড়ালে কয়েকজন সদস্য আসলে আওয়ামী ঘনিষ্ঠদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন। এ লক্ষ্যে ‘ইউনাইটেড আইসিটি ফোরাম’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে বেসিস, বাক্কো, ই-ক্যাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের একত্রিত করার প্রয়াস চলছে।
এদিকে, হোসনে আরা নূরী নওরীন, জাহিদুজ্জামান সাঈদ, নূরুজ্জামান, নূর নবী হাসান এবং মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন শিপনসহ একাধিক আওয়ামী ঘনিষ্ঠ উদ্যোক্তা নিয়ে একটি নির্বাচনী প্যানেল গঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এদের অনেকে পূর্ববর্তী শমী-তমাল কমিটির ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং বিভিন্ন সরকারি সুবিধা লাভ করেছিলেন বলেও দাবি করা হয়।
এক বৈষম্যবিরোধী সদস্য বলেন, আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। প্যানেল পরিচিতি মিটিংয়ে আমি দাওয়াত পেয়েও ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছি।
বৈষম্যবিরোধী উদ্যোক্তাদের মতে, ই-ক্যাব আবারও আওয়ামী ব্যবসায়ীদের দখলে গেলে সেটি শহীদ ছাত্র-জনতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হবে। প্রয়োজন হলে সংগঠনের মধ্যে আবারও প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
মন্তব্য করুন