কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২৫, ০১:৪০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

১৮ জুলাই স্মৃতিচারণ করে নাছিরের ফেসবুক স্ট্যাটাস

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। ছবি : সংগৃহীত
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। ছবি : সংগৃহীত

১৮ জুলাইকে একটি ঐতিহাসিক দিন উল্লেখ করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেছেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে এ দিন শেখ হাসিনার বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে নাছির বলেন, গত বছর ১৭ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারকীয় হামলার পরে হল বন্ধ করে হলগুলোতে খাবার, পানি, বিদ্যুৎ বন্ধ করার হুমকি দিয়ে ফ্যাসিস্ট শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ছাড়তে বাধ্য করে। তখন আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়। ওইদিন পরবর্তী কর্মসূচি বিষয়ে সমন্বয়কদের সঙ্গে আমাদের আলোচনার সময়েও কেউ কেউ হতাশা ব্যক্ত করেন আন্দোলন স্তিমিত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে। আবার কেউ কেউ আশাবাদী ছিলেন যে, আন্দোলন তীব্র হবে। তবে ফাঁকা ক্যাম্পাসে কীভাবে হবে, তা নিয়ে শঙ্কা ছিল সবার মনে।

তিনি আরও বলেন, আজ ১৮ জুলাই একটি ঐতিহাসিক দিন। গত বছরের এ দিন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের সবটুকু সামর্থ্য উজাড় করে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পুলিশের গুলিতে অনেকজন শহীদ হয়। কিন্তু তারা দমে যাননি। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধের কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মনোবল ফিরে পায়। ১৮ জুলাই শেখ হাসিনার বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রামপুরা, বাড্ডা, বসুন্ধরা এলাকায় তাদের দুর্বার আন্দোলনের কারণে আন্দোলন ক্যাম্পাস থেকে রাজপথে ছড়িয়ে পড়ে। শ্রমিক ভাইয়েরা যুক্ত হয়ে ছাত্রদলের আন্দোলনকে গণ-আন্দোলনে পরিণত করে।

ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হত্যাযজ্ঞের কারণে ঢাকার মধ্যবিত্ত ও উচ্চ-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষও ক্ষুব্ধ হয়ে রাজপথে নেমে আসে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রবল আন্দোলনের কারণেই কোটা সংস্কার আন্দোলন ফ্যাসিবাদবিরোধী গণঅভ্যুত্থানের দিকে ধাবিত হয়।

নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, অন্যদিকে ঢাকার প্রবেশপথগুলো বন্ধ করে দিয়ে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা সাহসী ভূমিকা পালন করে। শনিরআখড়া, কাজলা, যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদপুর, উত্তরাসহ বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি মিলেও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের হটাতে পারেনি। মৃত্যুর মিছিল উপেক্ষা করে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা ১৮ জুলাই থেকে রাজপথ দখলে না নিলে, গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস ভিন্ন রকম হতে পারতো। সঠিক সময়ে তারা যুদ্ধক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে না পড়লে, আমাদের বিজয়ের গল্প আরও অনেক বিলম্বিত হতে পারতো।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তারেক রহমানের হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ : ড. জালাল উদ্দিন

চলনবিল রক্ষায় কঠোর প্রশাসন

‘নির্বাচন বানচালের যে কোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে যুবদল প্রস্তুত’

বাস-পিকআপভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১

জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ / চ্যাম্পিয়নকে বিদায় করলেন সিবগাত উল্লাহ

আবাহনীতে মোরসালিন-আল আমিন অধ্যায় শুরু

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মালিক সমিতির সভাপতি সবুর খান, সেক্রেটারি ইশতিয়াক

‘তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যারা মিথ্যাচার করছে, তারা স্বৈরাচারের দোসর’

১৮ জুলাই স্মৃতিচারণ করে নাছিরের ফেসবুক স্ট্যাটাস

জিয়ার মাজার এলাকায় বিএনপির পরিচ্ছন্নতা অভিযান

১০

বিএনপি নেতাকে মালা পরানো সেই পুলিশ পরিদর্শককে গোপালগঞ্জে বদলি

১১

মতিঝিল সেনা কল্যাণ ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

১২

রাত জেগে মারাত্মক যেসব ক্ষতি করছেন

১৩

সংস্কারের পরেই নির্বাচন করতে হবে : নাহিদ ইসলাম

১৪

র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় ১২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

১৫

‘গণঅভ্যুত্থানের ফসল কাদের হাতে তুলে দিয়েছি, ভাবতে হচ্ছে আমাদেরই’

১৬

‘জুলাই আন্দোলন ছিল ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে জনতার স্বতঃস্ফূর্ত বিস্ফোরণ’

১৭

মতিঝিল সেনা কল্যাণ ভবনে আগুন

১৮

নেতাকর্মীদের অসুস্থ স্বজনের খোঁজ নিতে হাসপাতালে মীর হেলাল

১৯

খাগড়াছড়িতে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

২০
X