

টেলিভিশন এখন আর শুধু অনুষ্ঠান দেখার মাধ্যম নয়—এখন এটি একেবারে স্মার্ট সঙ্গী! এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টিভিকে এমনভাবে বদলে দিয়েছে, যা আমাদের দেখার অভিজ্ঞতাকে করেছে আরও সহজ, আরামদায়ক আর একেবারে নিজের মতো করে সাজানো।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে এআই প্রযুক্তি আমাদের টিভি ব্যবহারের অভ্যাসে দারুণ পরিবর্তন আনছে।
পছন্দ বুঝে নিজে থেকেই সাজায় কনটেন্ট : আগে কোন অনুষ্ঠান বা সিনেমা দেখবেন, তা খুঁজতে সময় লাগত। এখন স্মার্ট টিভি নিজেই বুঝে নেয় আপনি কী দেখতে ভালোবাসেন—খেলা, খবর, নাটক না কমেডি।
এআই চালিত রিকমেন্ডেশন সিস্টেম আপনার দেখার ইতিহাস ও আগ্রহ বিশ্লেষণ করে ঠিক করে দেয় কী দেখলে আপনার ভালো লাগবে। ফলে ইউটিউব, নেটফ্লিক্স বা অন্য প্ল্যাটফর্মে খোঁজাখুঁজি করতে হয় না। আপনার জন্য সাজানো কনটেন্ট আপনি সহজেই পেয়ে যান।
ঘরের পরিবেশ বুঝে নিজেই ঠিক করে ছবি ও শব্দ : এখনকার টিভিগুলোতে আছে এমন সেন্সর ও এআই প্রসেসর, যা ঘরের আলো, শব্দ আর পরিবেশ অনুযায়ী নিজে থেকেই স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা ও শব্দের মান ঠিক করে নেয়।
ঘর অন্ধকার হলে টিভি উজ্জ্বলতা কমায়, আলো বেশি হলে বাড়ায়। এমনকি সংলাপ বা ভয়েস স্পষ্ট করে দেয়, যাতে কিছুই মিস না হয়।
যেমন স্যামসাংয়ের নতুন প্রজন্মের টিভিতে থাকা NQ8 AI Gen3 প্রসেসর এসব কাজ নিখুঁতভাবে করে, ফলে আপনি যে কোনো পরিবেশে পাবেন দারুণ ভিজ্যুয়াল ও সাউন্ড অভিজ্ঞতা।
ভয়েসে নিয়ন্ত্রণ, দরকার নেই রিমোটের : রিমোটে বারবার বোতাম চাপার ঝামেলা এখন অতীত। এআই সমৃদ্ধ টিভিগুলোতে আছে ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট। যেমন: বিক্সবি, আলেক্সা বা গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট।
এখন শুধু মুখে বলেই টিভি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। চ্যানেল পাল্টানো, ভলিউম বাড়ানো বা কোনো অনুষ্ঠান খুঁজে বের করা—সব কিছুই কথার মাধ্যমে করা সম্ভব। এতে টিভি দেখা আরও ইন্টারঅ্যাকটিভ আর মজার হয়ে উঠেছে।
স্মার্ট হোমের নিয়ন্ত্রণ এখন টিভিতেই : আজকের টিভি শুধু বিনোদনের জন্য নয়, বরং এটি পুরো ঘরের স্মার্ট হাব। আপনি টিভি থেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন ঘরের অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইস—যেমন ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন বা লাইট।
অর্থাৎ টিভি এখন একপ্রকার ‘কমান্ড সেন্টার’, যেখানে একটি স্ক্রিন থেকেই আপনি পুরো ঘর সামলাতে পারেন!
আগে টেলিভিশন মানে ছিল নাটক বা সিনেমা দেখা, এখন এটি হয়ে উঠেছে এক স্মার্ট পার্টনার। ভবিষ্যতে হয়তো টিভি আমাদের মেজাজ, অভ্যাস এমনকি আবেগ পর্যন্ত বুঝে কনটেন্ট সাজাবে।
প্রযুক্তি আর মানুষের এই মিলিত জগতে বিনোদনের অভিজ্ঞতা হবে আরও ব্যক্তিগত আরও প্রাণবন্ত।
সূত্র : প্রযুক্তি
মন্তব্য করুন