আজকাল স্মার্টফোন শুধু ফোনকল বা মেসেজের জন্য না—এতে রয়েছে আমাদের ছবি, ভিডিও, ব্যক্তিগত ডকুমেন্ট, পাসওয়ার্ড, ব্যাংকের তথ্যসহ কত কী! আর তাই ফোনটা হারালে বা হ্যাক হলে শুধু ফোন নয়, পুরো জীবনটাই যেন ঝুঁকিতে পড়ে যায়।
তাই আগে থেকেই কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললেই স্মার্টফোনে থাকা তথ্য থাকবে নিরাপদ। চলুন জেনে নিই ৫টি গুরুত্বপূর্ণ ও সহজ নিরাপত্তা টিপস।
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ, পুরোনো মেসেজ, অচেনা স্ক্রিনশট—এসব ফোনে জমতেই থাকে। অথচ এসবের মধ্যেই লুকিয়ে থাকতে পারে হ্যাকারদের সুযোগ। তাই নিয়ম করে ফোন পরিষ্কার করুন।
আর খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরাসরি ফোনে না রেখে রাখুন নিরাপদ ক্লাউড স্টোরেজে, যেমন গুগল ড্রাইভ বা আইক্লাউড। ইনকগনিটো মোড ব্যবহার করা এবং মাঝে মাঝে ব্রাউজারের হিস্টোরি, ক্যাশ ক্লিয়ার করাও ভালো অভ্যাস।
যে অ্যাকাউন্ট বা অ্যাপ আপনি এখন ব্যবহার করছেন না, সেগুলোতে লগ ইন থাকা মানেই বাড়তি ঝুঁকি। যেমন—পুরোনো কোনো ইমেইল অ্যাপ, ক্লাউড ব্যাকআপ বা ব্রাউজারে সংরক্ষিত এক্সটেনশন। তাই অপ্রয়োজনীয় সব কিছুতে সাইন আউট থাকুন। অটো-ডাউনলোড অপশনও বন্ধ রাখুন।
প্রতিদিন আমরা কত কথা বলি ফোনে—তার অনেকটাই হয় চ্যাটে। কিন্তু সাধারণ মেসেজিং অ্যাপে এনক্রিপশন না থাকায় আপনার বার্তা অন্যের হাতে পৌঁছাতেও সময় লাগে না!
তাই WhatsApp, Signal বা Element-এর মতো এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন সুবিধাযুক্ত অ্যাপ ব্যবহার করুন। ইমেইলের জন্য ব্যবহার করতে পারেন ProtonMail-এর মতো নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম।
আপনি যদি আইফোন ব্যবহার করেন, তাহলে ‘Advanced Data Protection’ অপশনটি অন করে রাখুন। এতে আপনার আইক্লাউড ডেটা থাকবে আরও বেশি সুরক্ষিত।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনেও Google One-এর ব্যাকআপ ও ক্লায়েন্ট-সাইড এনক্রিপশন চালু রাখা ভালো। এতে ডেটা শুধু আপনার নিয়ন্ত্রণেই থাকবে।
ফোন ব্যবহার করার সময় পাশে কেউ উঁকি দিয়ে দেখছে—এটা অনেকেই বুঝতেও পারেন না। তাই ব্যবহার করুন প্রাইভেসি স্ক্রিন প্রটেক্টর, যা পাশ থেকে কেউ কিছুই দেখতে দেবে না।
আর পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহারের সময় সাবধান থাকুন, কারণ এই জায়গা থেকেই অনেক সময় ডেটা চুরি হয়ে যায়।
আমাদের ফোন এখন আমাদের পকেটের কম্পিউটার। তাই তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা মানেই নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এই ছোট ছোট অভ্যাসই আপনাকে বাঁচাতে পারে বড় কোনো বিপদ থেকে। তাই এখন থেকেই সচেতন হোন, নিরাপদে থাকুন।
সূত্র : প্রযুক্তি
মন্তব্য করুন