শিশুরা সবসময় নিজের চারপাশ থেকে শেখে। বিশেষ করে বাবা-মায়ের আচরণই তাদের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। তারা বড়দের দেখেই অনেক কিছু রপ্ত করে ফেলে। তাই বাড়িতে ছোট সদস্য থাকলে বড়দের একটু বেশি সতর্ক হওয়া দরকার। ছোটদের সামনে এমন কিছু করা উচিত নয়, যা তাদের মনে ভুল ধারণা তৈরি করতে পারে।
এখানে এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো, যেগুলো অভিভাবকদের এড়িয়ে চলা উচিত—বিশেষ করে যখন শিশুরা আশপাশে থাকে।
প্রতিটি শিশু আলাদা — তাদের ভাবনা, শেখার পদ্ধতি, আর গতি একেকরকম। তাই নিজের সন্তানের সঙ্গে অন্য কারও তুলনা করা একেবারেই উচিত নয়। এতে তার আত্মবিশ্বাস কমে যায় এবং মনে চাপ তৈরি হয়। শিশুকে তার নিজের মতো বেড়ে উঠতে দিন, প্রশংসা করুন তার নিজস্বতা।
অনেক সময় দেখা যায়, শিশুরা কষ্ট বা রাগ পেলে সেটা প্রকাশ করতে চায়, কিন্তু বড়রা সেটা আটকান। ‘এগুলো বলো না’ বা ‘এত আবেগ দেখিও না’—এমন কথা শিশুর মনে বাধা তৈরি করে। ফলে তারা ধীরে ধীরে মনের কথা বলার সাহস হারিয়ে ফেলে। বরং, সন্তানের আবেগকে বোঝার চেষ্টা করুন, তাকে ভালোভাবে শুনুন।
আজকাল শিশুরা পড়াশোনা ছাড়াও নানা কাজে ব্যস্ত থাকে—কোচিং, হোমওয়ার্ক, ক্লাস, প্রজেক্ট ইত্যাদি। কিন্তু খেলাধুলা, বিশ্রাম, বা একান্ত নিজের সময়ও তাদের দরকার। যদি সারাদিন তাকে দৌড়ঝাঁপে ব্যস্ত রাখা হয়, তাহলে মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়বে। তাই একটা ভারসাম্যপূর্ণ রুটিন বানানো জরুরি।
শিশুদের বেড়ে ওঠার সময় তাদের চারপাশের পরিবেশ অনেক বড় ভূমিকা রাখে। বড়রা যেমন আচরণ করবেন, শিশুরাও তা দেখেই শিখবে। তাই নিজের আচরণে সচেতন হওয়া এবং ছোটদের বুঝে, ভালোবাসা দিয়ে বড় করে তোলাই একজন অভিভাবকের আসল দায়িত্ব।
সূত্র : এই সময় অনলাইন
মন্তব্য করুন