রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে ট্রেনে-বাসে আগুন দেওয়ার মাধ্যমে নারী-শিশুসহ সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় বুধবার শোক, উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সংখ্যালঘু ও ভিন্নমতাবলম্বী জনগোষ্ঠীর ওপর যে কোনো ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যথাসময়ে যথাযথ কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। একই সাথে নাগরিক সমাজকেও এই অপতৎপরতা রোধে সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয়।
প্রতিবাদ জানিয়ে মহিলা পরিষদ লিখিত বিবৃতি দেয়। এতে বলা হয়, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক সহিংসতা বৃদ্ধির ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এ ধরনের নিষ্ঠুরতাসহ যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
সহিংসতা ও সন্ত্রাস গণতন্ত্রকে কোনোমতেই শক্তিশালী করে না। দলীয় রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থের জন্য সহিংস, সন্ত্রাসী তৎপরতা বাংলাদেশের নারী সমাজ কোনো মতেই সমর্থন করে না। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় সকল রাজনৈতিক দলেরই মত প্রকাশের, আন্দোলনের অধিকার থাকবে এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু মানুষের গণতান্ত্রিক দাবি আদায়ের কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও প্রতিহত করার নামে জনজীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও জনস্বার্থ বিঘ্নিত করা, দেশের সম্পদ বিনষ্ট করা কোনোমতেই কাম্য নয়। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ রাজনৈতিক দলগুলোকে এ ধরনের ঘৃণ্য সন্ত্রাসী অপতৎপরতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ অবিলম্বে নিরপেক্ষভাবে এসব ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে তাদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। এই সকল অপতৎপরতা রোধে সকল রাজনৈতিক দলকে জবাবদিহিতার আওতায় এনে রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধ করার দাবিও জানায় তারা।
মন্তব্য করুন