কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

লিবিয়ায় বন্যায় নিহত ৩ হাজার, নিখোঁজ ১০ হাজারের বেশি

বন্যা কবলিত লিবিয়ার একটি অঞ্চল। ছবি : এপি
বন্যা কবলিত লিবিয়ার একটি অঞ্চল। ছবি : এপি

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর দেরনায় ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। এতে নিহতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিন হাজার লোক নিহত হয়েছেন। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ দেশটিতে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি সাহায্যকারী দলগুলোকে একত্রিত করছে। দেশটি মূলত রাজনৈতিকভাবে দুইভাগে বিভক্ত।

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওসমান আবদুলজালিল বলেছেন, এই অঞ্চলের পরিস্থিতি বিপর্যয়কর। অনেক জায়গায় এখনো মরদেহ পড়ে রয়েছে। হাসপাতালগুলো মরদেহে পূর্ণ হয়ে গেছে। এমন অনেক জায়গায় আছে যেখানে এখনো পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

রেড ক্রসের কর্মকর্তা তামির রমাদান বলেন, বন্যায় এখনও পর্যন্ত অন্তত ১০ হাজার লোক নিখোঁজ রয়েছেন। দেশটিতে আশঙ্কার চেয়ে অনেক বেশি গতিতে হতাহতরে সংখ্যা বাড়ছে। এতে নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে।

সংবাদমাদ্যম জানিয়েছে, লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলটি লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) দখলে। এলএনএর মুখপাত্র আহমেদ মিসমারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, কয়েকটি বাঁধ ভেঙে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে শহবের সব এলাকা তলিয়ে গেছে। পানির তোড়ে বহু মানুষ সাগরে ভেসে গেছে।

এর আগে গতকাল সোমবার রেড ক্রিসেন্টের প্রধান বলেছিলেন, দেরনার বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১৫০ জন। এ সংখ্যা ২৫০ পর্যন্ত যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন তিনি। তবে রয়টার্স এদের কারও দাবির বিষয়েই স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।

এদিকে দেশের বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ভ্রাতৃপ্রতিম-বন্ধু দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লিবিয়ার প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিল। তিন সদস্য বিশিষ্ট এই কাউন্সিলই সংঘাতে জর্জরিত দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকে।

গত সপ্তাহে গ্রিসে তাণ্ডব চালিয়ে ঝড় ড্যানিয়েল রোববার ভূমধ্যসাগর অঞ্চলে আঘাত হানে। এ ঝড়ের প্রভাবে দেরনা শহরের রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়। এ ছাড়া লিবিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বেনগাজিসহ উপকূলীয় এলাকায় বাড়িঘর ধসে গেছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চমেক হাসপাতালে হাজতির মৃত্যু

না ফেরার দেশে পাকিস্তানের প্রথম টেস্ট দলের শেষ জীবিত সদস্য

জেন-জি বিক্ষোভের মুখে এবার দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট

আশুলিয়ায় ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার

‘নির্বাচনে পুলিশ পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করলে কঠোর ব্যবস্থা’

খাদ্য ফোরামে প্রধান উপদেষ্টার ৬ প্রস্তাব

রাকসু নির্বাচনে ব্যতিক্রমী প্রচারপত্র : মাটিতে ফেললেই জন্মাবে গাছের চারা

হজ নিবন্ধনে সাড়া নেই, এখনো ফাঁকা ৭৫ হাজারের বেশি আসন

চাকসু নির্বাচন / জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চায় শিবির, মরিয়া অন্যরাও

সালমান শাহর মৃত্যুর মামলার শুনানি শেষ, রায় চলতি মাসে

১০

১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের জোগান দিচ্ছে সরকার, আশ্রয়ে ১৩ লাখ রোহিঙ্গা : প্রধান উপদেষ্টা

১১

নাগরিক দুর্ভোগ নিরসনে সিটি করপোরেশনে স্মারকলিপি দেবে বিএনপি

১২

‘৩১ দফা শুধু রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি নয়, আমাদের বাঁচার স্বপ্ন’

১৩

রামুতে মিথ্যা মামলায় যুবক কারাগারে

১৪

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে পাঠানো হলো ঢাকায়

১৫

মন্ত্রণালয়ে চূড়ান্ত জকসু নীতিমালা, রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অপেক্ষা

১৬

জাবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে ১৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

১৭

বঙ্গ ফ্লেভার অ্যান্ড ফ্র্যাগরেন্স পরিদর্শনে জাইকা প্রতিনিধিদল

১৮

চাকসুতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ভোটারদের জন্য থাকছে আলাদা বুথ

১৯

বিশ্ববাজারে আবারও স্বর্ণের রেকর্ড দাম

২০
X