ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত মরক্কো। দেশটিতে গত শুক্রবার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে। এবার এ ভূমিকম্প নিয়ে নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। দেশটির আকাশে ভূমিকম্পের আগমুহূর্তে রহস্যময় আলো দেখা গেছে। যা নিয়ে নতুন করে আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে।
দ্য ডেইলি মেইল জানিয়েছে, অ্যাটল্যাস পর্বতমালার উপরে শুক্রবার রাতে আলোর বিশাল ঝলক দেখা গিয়েছিল। এর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই মারাখোশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আলোর এ বিষয়টি যাচাইচাছাই করা যায়নি। তবে এ নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা চলছে। অনেকে এটিকে আকাশে উড়ন্ত কোনো বস্তু, আবার কেউ কেউ এটিকে কেবল গুজব হিসেবে মন্তব্য করছেন।
অনেকের ধারণা, রাতের আকাশে দেখতে পাওয়া ওই আলোর ঝলকানি ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা। এটি সাধারণত ভূমিকম্পের সময়ে ভূপৃষ্ঠতে সংঘটিত কোনো প্লেটের অবস্থান পরিবর্তনের কারণে ঘটে থাকে। যদিও বিষয়টি নিয়ে কোনোভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এমনকি ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা বলে আদেও কিছু আছে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
ভূপদার্থবিদ ড. ফ্রেডম্যান ফ্রুন্ড ওয়াশিংটন পোস্টকে জানান, মরক্কোয় ভূমিকম্প রাতের বেলায় হয়েছিল। তবে রাতের ওই আলো এবং ক্যামেরায় ধারণ করা ঝলকানির সাথে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তার মিল খুবই বেশি।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কথিত আছে যে পৃথিবীতে কোনো পরিবর্তন বা বিশেষ কোনো দুর্যোগের আগে সাধারণত এমন আলোক বিচ্ছুরণ হয়ে থাকে। এগুলো বিভিন্ন রঙও ধারণ করতে পারে। এরমধ্যে গোলাপি এবং বিভিন্ন সময়ে বড় বড় আলোর ঝলকানি দেখা যায়।
সংবাদমাধ্যমমের তথ্যমতে, ২০০৯ সালে ইতালিতে ভূমিকম্পের আগে এমন আলোর ঝলকানি দেখা গিয়েছিল। এর আগে ১৯৮৮ সালে কিউবেকে সেন্ট লরেন্স নদীর তীরবর্তী আকাশে উজ্জ্বল বেগুনি রংয়ের আলো দেখা গিয়েছিল। এর ১১ দিন পর শেহরটিতে ভয়াবহ বূমিকম্প হয়েছিল।
ভূপদার্থবিদ ড. ফ্রেডম্যান ফ্রুন্ড জানান, ২০১৪ সাল থেকে তিনি ও তার সহকর্মীরা অন্তত ৬৫টি এমন রহস্যময় আলোর ঘটনা বিশ্লেষণ করেছেন। ১৬৬০ সাল থেকে তার পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে ভূমিকম্পের আগে এমন আলো বিচ্ছুরণের ইতিহাস রয়েছে।
মন্তব্য করুন