বিদ্রোহ বা বিদেশি আগ্রাসন মোকাবিলয়ায় একে-অন্যের পাশে দাঁড়াতে নিরাপত্তা চুক্তির মাধ্যমে নতুন জোট গঠন করেছে পশ্চিম আফ্রিকার তিন দেশ মালি, নাইজার ও বুরকিনা ফাসো। গতকাল শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের দেশ তিনটি আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেট (আইএস) সম্পর্কিত বিদ্রোহ দমনে হিমশিম খাচ্ছে। এ ছাড়া সেনা অভ্যুত্থানের কারণে প্রতিবেশী ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে টানাপোড়েন চলছে দেশগুলোর জান্তা সরকারের।
সবশেষ গত জুলাই মাসে নাইজারে সেনা অভ্যুত্থানে পর থেকে এই সম্পর্ক আরও অবনতি হয়েছে। নাইজারে সেনা অভ্যুত্থানের পর গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার পুনর্বহালে সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি দিয়ে রেখেছে পশ্চিম আফ্রিকার ১৫ দেশের জোট ইকোওয়াস। এ ক্ষেত্রে জোটটিকে সমর্থন দিয়ে আসছে পশ্চিমারা। তবে নাইজারে এ ধরনের হামলা হলে পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্রতিবেশী মালি ও বুরকিনা ফাসো।
নতুন জোটের নাম সাহেল আঞ্চলিক জোট। চুক্তির সনদ অনুযায়ী, চুক্তিবদ্ধ এক বা একাধিক দেশের সার্বভৌমত্ব বা আঞ্চলিক অখণ্ডতার ওপর যে কোনো আক্রমণ হলে অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধেও আগ্রাসন বলে বিবেচিত হবে। এ ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশ সশস্ত্র বাহিনীসহ একক বা সম্মিলিতভাবে সহায়তা দেবে।
এক এক্সবার্তায় মালির জান্তা নেতা আসিমি গোইতা বলেন, সম্মিলিত প্রতিরক্ষা ও পারস্পরিক সহায়তা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আজ বুরকিনা ফাসো ও নাইজারের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে লিপ্টাকো-গৌরমা সনদ স্বাক্ষর করেছি।
মন্তব্য করুন