কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪০ পিএম
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মিয়ানমারের জান্তার বিরুদ্ধে একজোট মুসলিম-খ্রিস্টানরা

মিয়ানমারের একটি এলাকায় সংঘাত। ছবি : সংগৃহীত
মিয়ানমারের একটি এলাকায় সংঘাত। ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে সক্রিয় রয়েছে একাধিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী। জান্তার বিরুদ্ধে তারা সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। এবার জান্তার বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে মিয়ানমারের মুসলিম ও খ্রিস্টানরা।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদেনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলের তানিনথারি এলাকায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীর যোদ্ধারা শহরের দিকে যাওয়া গাড়ি ও ট্রাক চেক করছে। ২০২১ সালে জান্তার ক্ষমতা দখলের পর এলাকাটিতে ধর্মীয় বিশ্বাসের দিক থেকে আলাদা হলেও একজোটে তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে যাচ্ছে বিভিন্ন ধর্মগোষ্ঠীর অনুসারীরা।

দেশটিতে এসব চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিরা স্বল্প পরিচিত ‘মুসলিম কোম্পানির’ সদস্য, যারা খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধ-অধ্যুষিত সশস্ত্র গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের (কেএনইউ) অংশ হিসেবে মিয়ানমারে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামে যোগ দিয়েছে।

তানিনথারির এ যোদ্ধাদের আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিগেড-৪ এর থার্ড কোম্পানি হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। এ অংশে ১৩০ জন মুসলিম সেনা রয়েছেন। হাজার হাজার যোদ্ধাদের সঙ্গে জান্তাকে উৎখাত করতে যোগ দিয়েছেন তারা।

আলজাজিরা জানিয়েছে, মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলের পাহাড়ি ঘেরা এলাকায় অজ্ঞাত জায়গায় এ ইউনিটের সদরদপ্তর পরিদর্শন করেছেন তারা।

মুসলিম কোম্পানির নেতা মোহাম্মদ আইশার মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘকাল ধরে লড়াই করা সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে বলেন, কিছু এলাকায় জাতিগতদের নিজস্ব স্টেট থাকায় তাদের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এসব এলাকায় কোনো একক গোষ্ঠী শাসন করে না। তবে সামরিক বাহিনীর দমনপীড়ন সব গোষ্ঠীকে প্রভাবিত করে। যতদিন সামরিক বাহিনী থাকবে, ততদিন মুসলমান এবং অন্য সবাই নিপীড়িত হবে।

আইশার আরও বলেন, জান্তাবিরোধী শক্তির মধ্যে বৈচিত্র্যের গ্রহণযোগ্যতা সাংস্কৃতিক এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করবে, যা আগে মিয়ানমারে সংঘাতের কারণ হয়েছিল।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যে কারণে বাড়ির বাইরে যেতে পারছেন না ভিকি

হংকং চায়না ম্যাচ শেষে দেশে ফিরেছেন জামাল-রাকিবরা

রাকসু নির্বাচন : ভিপি পদে হাড্ডাহাড্ডি, জিএসে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস

দেয়ালে শিশুর আঁকাআঁকি পরিষ্কার করার ৪ সহজ উপায়

পূজা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ, ১৭ দিনেও খোঁজ মেলেনি আদুরি রানীর

মিরপুরে আগুনে হতাহতের ঘটনায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টার শোক

শিবিরের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ দুই ভিপি প্রার্থীর

শাহবাগ অবরোধ

চাঁদাবাজির বিষয়ে সতর্ক করে বিএনপির মাইকিং

অমোচনীয় কালির বিষয়ে যা জানাল নির্বাচন কমিশন

১০

মিরপুরে আগুনে হতাহতের ঘটনায় জমিয়তের শোক

১১

মেট্রোরেল যাত্রীদের জন্য বড় সুখবর

১২

ওজন কমাতে খেতে হবে যেসব সহজলভ্য সবজি

১৩

ফিফার অদ্ভুত নিয়মে র‌্যাংকিংয়ের ২১০ নম্বর দলটিও খেলতে পারে বিশ্বকাপে

১৪

ওএমআরে ভোট গণনা হবে, সময় নষ্ট হবে না : সহ-উপাচার্য

১৫

ব্রেইলে ব্যালট না থাকায় ভোট নিয়ে শঙ্কায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ভোটাররা

১৬

কর্ম ভিসা কমিয়ে দিচ্ছে ইউরোপের এক দেশ

১৭

অস্ত্র মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু 

১৮

সাড়া ফেলেছে এফ কে ডলারের ‘তুমি আমার কে’

১৯

ডেঙ্গুর হটস্পট ময়মনসিংহ

২০
X