জাপান প্রথমবারের মতো তাদের নিজস্ব ভূখণ্ডে ভূমি থেকে জাহাজে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এই পরীক্ষামূলক মহড়া বর্তমান কঠিন নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় হোক্কাইডো দ্বীপের একটি সামরিক ঘাঁটি থেকে জাপানের গ্রাউন্ড সেলফ-ডিফেন্স ফোর্স (জিজিএসডিএফ) ‘টাইপ-৮৮’ ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রশিক্ষণমূলকভাবে নিক্ষেপ করে। এটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলীয় এলাকায় গিয়ে আঘাত হানে।
জাপান সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে এ ধরনের লাইভ-ফায়ার মহড়া পরিচালনা করে থাকে। তবে সেসব মহড়া ব্যয়বহুল এবং অংশগ্রহণকারী সেনাসদস্যদের সংখ্যা সীমিত হয়। জাপানি ইয়েনের অবমূল্যায়নের কারণে এই ব্যয় আরও বেড়ে যাওয়ায় দেশটি এখন থেকে ঘরোয়াভাবে মহড়া চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সরকারের মুখপাত্র ইয়োশিমাসা হায়াশি বুধবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, নিজ দেশে এমন লাইভ-ফায়ার মহড়া বেশি সংখ্যক সেনাকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে এবং দ্বীপ ও অন্যান্য এলাকার প্রতিরক্ষায় সহায়তা করে।
যদিও তিনি জানান, এই মহড়া কোনো নির্দিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে নয়, তবুও জাপান পূর্ববর্তী বিবৃতিতে চীনকে তাদের সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বেইজিংয়ের আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারের প্রয়াস, বিশেষ করে তাইওয়ান ইস্যুতে আগ্রাসী অবস্থানের কারণে জাপান তার প্রতিরক্ষা কৌশলে বড় পরিবর্তন এনেছে।
উল্লেখ্য, জাপান বর্তমানে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়িয়ে জিডিপির ২ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করছে, যা ন্যাটো স্ট্যান্ডার্ডের সমান।
পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক জোট আরও জোরদার করা হচ্ছে, যাতে আঞ্চলিক উত্তেজনা ও সম্ভাব্য হুমকির জবাবে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানো সম্ভব হয়।
মন্তব্য করুন