মহাআয়োজনে জাতীয় কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান পালন করছে চীন। এতে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানসহ বিশ্বের ২৪ দেশের প্রতিনিধিরা। খবর রয়টার্স
জাপানের বিরুদ্ধে বিজয়ের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) চীনের তিয়েনানমেন স্কোয়ারে জাঁকজমকপূর্ণ কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। এতে চোখ ধাঁধানো নতুন নতুন সমরাস্ত্রের প্রদর্শনী করেছে চীন। যার মধ্যে রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র, মানুষ হত্যাকারী ড্রোন।
এই কুচকাওয়াজে চীন প্রথমবারের মতো সমুদ্র, ভূমি ও আকাশ থেকে একযোগে নিক্ষেপযোগ্য পারমাণবিক ক্ষমতা সম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রের উন্মোচন করে। যার মধ্যে ছিল আকাশ থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র জিংলেই-১, সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র জুলাং-৩ এবং স্থল থেকে নিক্ষেপযোগ্য আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ডংফেং-৬১ (ডিএফ-৬১) এবং ডংফেং-৩১।
চীন সংবাদমাধ্যম সিনহুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্ব এবং মর্যাদা রক্ষায় চীনের নতুন অস্ত্রগুলো একটি কৌশলগত ভূমিকা রাখবে। এছাড়া কুচকাওয়াজে জাহাজ বিধ্বংসী হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রও উন্মোচন করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে- ইংজি-১৯, ইংজি-১৭ এবং ইংজি-২০। এগুলো মার্কিন এয়ারক্রাফট বহনকারী জাহাজ ধ্বংসে সক্ষম।
ওই কুচকাওয়াজে চীন ড্রোন বিধ্বংসী অস্ত্রেরও প্রদর্শন করে। যার মধ্যে রয়েছে- ক্ষেপণাস্ত্র বন্দুক, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন লেজার অস্ত্র এবং উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন মাইক্রোওয়েভ অস্ত্র। এছাড়াও পানির নিচে চলতে সক্ষম ড্রোনের প্রদর্শন করার পাশাপাশি মনুষ্যবিহীন হেলিকপ্টার, সাবমেরিন এবং জাহাজের প্রদর্শনী করা হয়।
মন্তব্য করুন