

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী (যুদ্ধমন্ত্রী) পিট হেগসেথ বার্ষিক নিরাপত্তা আলোচনার জন্য দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেন। ওই সফরের কয়েক দিন পরই উত্তর কোরিয়া তাদের পূর্ব জলসীমার দিকে কমপক্ষে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর শুক্রবার (৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে তথ্যটি জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি পূর্ব সাগরের দিকে ৭০০ কিলোমিটারের (৪৩৫ মাইল) মধ্যে বিস্ফোতি হয়। এলাকাটি জাপান সাগর নামে পরিচিত।
জাপান সরকার আরও জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। এটি জাপানের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরের জলসীমায় পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পিয়ংইয়ংয়ের সর্বশেষ উৎক্ষেপণটি দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে তাদের পশ্চিম জলসীমায় ১০ রাউন্ড কামান নিক্ষেপ করার চার দিন পর ঘটে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিউলকে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরির অনুমতি দেওয়ার প্রায় এক সপ্তাহ পরে এ ধরনের উসকানিমূলক ঘটনা ঘটল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়া পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন ব্যবহারকারী দেশগুলোর ক্লাবে যোগ দিতে চলেছে। এর ফলে দেশটির নৌ ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। বিষয়টি ভালোভাবে নিচ্ছে না উত্তর কোরিয়া।
শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতির একজন কর্মকর্তা জানান, দক্ষিণ কোরিয়া পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য আমেরিকা থেকে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পেতে চায়।
এই বছরের শুরুতে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ট্রাম্প এবং দক্ষিণ কোরিয়ার নেতারা উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে পুনরায় আলোচনা শুরু করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ২০১৯ সালে আমেরিকার সাথে পূর্ববর্তী আলোচনা ভেঙে যাওয়ার পর থেকে কিম ওয়াশিংটন এবং সিউলের সঙ্গে যে কোনো আলোচনা এড়িয়ে গেছেন।
উত্তর কোরিয়ার নেতা সেপ্টেম্বরে বলেছিলেন, তিনি আলোচনার জন্য উন্মুক্ত। যদি আমেরিকা পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগের দাবি থেকে সরে আসে তবে আমরা বসব। কারণ, আমার দেশ পারমাণবিক রাষ্ট্র এবং ভবিষ্যতেও এ থেকে দূরে সরবে না।
মন্তব্য করুন