যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দুদিনের চীন সফরের অংশ হিসেবে আজ রোববার বেইজিংয়ে এ বৈঠক করেন ব্লিংকেন।
চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুদিন বৈঠক করতে আজ রোববার বেইজিংয়ে আসেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাঁচ বছরের মধ্যে কোনো মার্কিন কূটনীতিকের প্রথম চীন সফর এটি। সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক স্থিতিশীল করা এ আলোচনার লক্ষ্য। তবে এ সফরে খুব একটা অগ্রগতি হবে বলে মনে করছে না যুক্তরাষ্ট্র। উভয়পক্ষই স্পষ্ট করেছে—তারা এ সফর থেকে বড় কোনো প্রত্যাশা করছে না।
এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চীন সফরের কথা ছিল ব্লিংকেনের। তবে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনের ‘গোয়েন্দা বেলুন’ নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হলে ওই সফর বাতিল করা হয়। সফর বাতিলের পাঁচ মাস পর আজ বেইজিংয়ে যান ব্লিংকেন।
রোববার দিয়াওইউতাই স্টেট অতিথি ভবনে ব্লিংকেনকে স্বাগত জানান কিন গ্যাং। এরপর করমর্দন করে নিজ নিজ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বসেন তারা।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, উচ্চ-স্তরে যোগাযোগ চালু করা এবং বেলুনকাণ্ডের পর দুই দেশের সম্পর্কে যে উত্তেজনা চলে আসছে, তা স্থিতিশীল করতেই ব্লিংকেনের এ চীন সফর। তবে ব্লিংকেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করবেন কিনা, তা জানা যায়নি।
এ সফরের আগেই চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাংয়ের সঙ্গে গত বুধবার উত্তপ্ত ফোনালাপে জড়ান ব্লিংকেন। এ নিয়ে তৈরি হয় উত্তেজনা। ফোনালাপে যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার আহ্বান জানিয়েছিলেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং। অন্যদিকে ‘ভুল বোঝাবুঝি ও সংঘাত’ এড়াতে যোগাযোগের ওপর গুরুত্ব দেন ব্লিংকেন। তিনি জানান, চীনের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্কের পাশাপাশি উদ্বেগের বিষয়গুলোও উত্থাপন করবে যুক্তরাষ্ট্র।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, ফোনালাপে ব্লিংকেনকে তাইওয়ান ইস্যুর পাশাপাশি চীনের মূল বিষয়গুলোকে সম্মান জানাতে বলেছেন কিন গ্যাং। ব্লিংকেনকে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বছরের শুরু থেকে চীন-মার্কিন সম্পর্ক নতুন সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ করা এবং প্রতিযোগিতার নামে চীনের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা স্বার্থের ক্ষতি না করা।’
এর আগে গত নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে বৈঠক করেছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
মন্তব্য করুন