

তাইওয়ানের চারপাশে বড় আকারের সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, স্থলবাহিনী ও রকেট বাহিনী একসঙ্গে এ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। চীনা সেনাবাহিনী বলেছে, এটি তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী শক্তি ও বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে একটি কড়া সতর্কবার্তা।
চীনের ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড জানায়, ‘জাস্ট মিশন ২০২৫’ নামের এই মহড়ার আওতায় তাইওয়ানের চারদিকে পাঁচটি এলাকায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর থেকে প্রায় ১০ ঘণ্টা এসব এলাকায় সমুদ্র ও আকাশপথে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। একই সঙ্গে গোলাবারুদ ব্যবহার করে মহড়া চালানো হবে।
চীনা সেনাবাহিনীর মুখপাত্র শি ই বলেন, এ মহড়ার লক্ষ্য হলো সমুদ্র ও আকাশে যুদ্ধের প্রস্তুতি যাচাই, গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ও এলাকা অবরোধের অনুশীলন এবং একযোগে হামলার সক্ষমতা বাড়ানো।
চীন মনে করে, তাইওয়ান তাদের ভূখণ্ডেরই অংশ। প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করেও দ্বীপটির নিয়ন্ত্রণ নেবে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের কাছে ১১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেওয়ায় বেইজিং ক্ষুব্ধ। পাশাপাশি, জাপানের প্রধানমন্ত্রী চীনের আক্রমণ হলে জাপানের ভূমিকার ইঙ্গিত দেওয়ায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, এই মহড়ায় যুদ্ধবিমান, বোমারু বিমান, ড্রোন ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষভাবে তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং ঘিরে অনুশীলন চালানো হবে।
তাইওয়ান সরকার এই মহড়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, চীনের এই সামরিক উসকানি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলছে। একই সঙ্গে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক আছে। তথ্যসূত্র : আল জাজিরা।
মন্তব্য করুন