দক্ষিণ চীন সাগরে ঘিরে অব্যাহত বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়ে আসছে চীন সরকার। প্রথমে প্রায় সম্পূর্ণ সাগরের মালিকানা দাবি করে মানচিত্র প্রকাশ করে বিতর্ক উসকে দেয়। এই বিতর্কের মধ্যেই সাগরে ভাসমান ব্যারিয়ার বসিয়েছে তারা। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নিজের সার্বভৌম এলাকার মধ্যে না পড়লেও এসব ব্যারিয়ার বসিয়েছে বেইজিং। খবর রয়টার্স।
দক্ষিণ চীন সাগরের তীরবর্তী দেশ ফিলিপাইন। অন্যান্য দেশের মতো দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীনের সঙ্গে টানাপড়েন চলছে দেশটির। ফিলিপাইনের কোস্টগার্ডের মুখপাত্র জায়ে তারিয়েলা এক এক্সবার্তায় (সাবেক টুইটার) বলেছেন, সাগরের স্কারবোরোফ শোয়াল এলাকায় ভাসমান ব্যারিয়ার স্থাপন করেছে চীন। এ কারণে তাদের দেশের মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে পারছে না।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনে এ এলাকা চীনের সার্বভৌম এলাকার মধ্যে পড়ে না। সমুদ্র অধিকার ও উপকূলীয় স্বার্থ রক্ষায় দক্ষিণ চীন সাগরের উপকূলবর্তী অন্যান্য দেশের সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বেশ কয়েক বছর ধরে দক্ষিণ চীন সাগরের সীমানা নিয়ে চীনে সঙ্গে টানাপড়েন চলছে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, জাপান, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের। সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা দাবি করে বেইজিংয়ের নতুন মানচিত্র প্রকাশের পর এ নিয়ে তিক্ততা আরও বেড়েছে। নতুন মানচিত্রে সাগরটির প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা নিজেদের বলে দাবি করেছে চীন।
তবে ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের আমলে দেশটির প্রতি বেশ উদার ছিল চীন সরকার। বেইজংয়ের সঙ্গে দুতার্তের ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক থাকায় সাগর তীরের অন্যান্য দেশের তুলনায় ফিলিপাইনের প্রতি খানিকটা উদার ছিল বেইজিং। তবে গত বছর ফার্ডিনান্ড মার্কোস জুনিয়র দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতাগ্রহণের পর দুদেশের সম্পর্ক অবনতি হচ্ছে।
মন্তব্য করুন