কাবাডি বিশ্বের নানা আয়োজনে বাংলাদেশের একসময়কার দাপট এখন নেই। নারী ও পুরুষ দুই বিভাগেই ব্যাকফুটে থাকা লাল-সবুজরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, যার অংশ হিসেবে সম্প্রতি নেপালে টেস্ট সিরিজ খেলে এসেছে বাংলাদেশ নারী দল। এ সিরিজ নারী বিশ্বকাপের আগে শাহনাজ পারভীন মালেকার দলকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান চলমান উত্তেজনার কারণে আসরটি স্থগিত করা হয়েছে।
ভারতের বিহার রাজ্যের রাজগির শহরে ১ থেকে ১০ জুন নারী বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আসরের জন্য কন্টিনজেন্ট লিস্টও পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের পরিকল্পনা ছিল ১৫ দিন আগে দলকে ভারত পাঠানোর। যাতে বেশ কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার পর বিশ্বকাপ খেলা যায়।
বাংলাদেশ ছাড়াও ইরান, নেদারল্যান্ডস, জাপান, পোল্যান্ড, উগান্ডা, কেনিয়া, হাঙ্গেরি, থাইল্যান্ড, নেপাল, জার্মানি, আর্জেন্টিনা এবং স্বাগতিক ভারতের এ আসরে অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কারণে শনিবার নারী বিশ্বকাপ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়োজক ভারতীয় অ্যামেচার কাবাডি ফেডারেশন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ কালবেলাকে বলেছেন, ‘জরুরি বার্তায় আয়োজকরা নারী বিশ্বকাপ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। আসরের জন্য বাংলাদেশ অবশ্য প্রস্তুত ছিল। নেপাল থেকে টেস্ট সিরিজ খেলে আসার পর থেকে প্রস্তুতি চলছিল। আসরে বাংলাদেশের পদক জয়ের ভালো সম্ভাবনাও ছিল।’
গত এশিয়ান গেমস এবং এসএ গেমসের পর সম্প্রতি টেস্ট সিরিজেও নেপালের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় বিশ্বকাপে লাল-সবুজদের সম্ভাবনা দেখা হচ্ছে কীসের ভিত্তিতে? প্রশ্নের উত্তরে এস এম নেওয়াজ সোহাগ বলেছেন, ‘নারী কাবাডিতে অন্যান্য দল সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়েছে। আমরা কিন্তু সেভাবে এগোতে পারিনি। এ অবস্থায় নারী দলের সক্ষমতা যাচাই করা জরুরি ছিল। নেপালের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে সেটা করা হয়েছে। আমাদের কোথায় কী ঘাটতি আছে, কোন জায়গায় উন্নতি করতে হবে—এগুলো জানার পর সমস্যা দূর করতে কাজ চলছে। মেয়েরা দুর্বলতাগুলো দ্রুত কাটিয়ে উঠছে। সে দৃষ্টিকোণ থেকেই নারী বিশ্বকাপ নিয়ে আমরা আশাবাদী।’
মন্তব্য করুন