তাইওয়ান ঘিরে আবারও সামরিক তৎপরতা শুরু করেছে চীন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) ১২টি চীনা যুদ্ধবিমান দুই দেশের মধ্যে সংবেদনশীল মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে। তিন দিনের চীন সফর শেষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বেইজিং ছাড়ার পরের দিনই এই ঘটনা ঘটল। খবর রয়টার্সের।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় তারা ২২টি চীনা যুদ্ধবিমান শনাক্ত করেছে। এদের মধ্যে ১২টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের উত্তর ও কেন্দ্রীয় মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে।
এতদিন এই মধ্যরেখা চীন ও তাইওয়ানের অনানুষ্ঠানিক সীমানা হিসেবে কাজ করেছে। তবে তা এখন আর মানতে রাজি নয় বেইজিং। তাই নিয়মিত চীনা বিমান এই সীমা অতিক্রম করছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,যৌথযুদ্ধ মহড়া চালিয়েছে চীনারা। এই সময় যুদ্ধবিমানের সঙ্গে যুদ্ধজাহাজও ছিল। তবে তাইওয়ানের যুদ্ধবিমান ও জাহাজ যথাযথভাবে জবাব দিয়েছে। যদিও ঠিক কীভাবে এই জবাব দেওয়া হয়েছে, তা জানানো হয়নি।
বিশ্বমঞ্চে তাইওয়ানের সবচেয়ে বড় মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও তাইওয়ানে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করে ওয়াশিংটন। তবে তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এই সখ্য ভালো চোখে না চীন। দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে অন্যতম বড় ইস্যু হলো তাইওয়ান।
তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে মনে করে চীন। এক সময় চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একে যুক্ত করার কথা জানিয়ে রেখেছে বেইজিং। এমনকি প্রয়োজন হলে বল প্রয়োগের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়েনের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে চীন।
মন্তব্য করুন