তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানই কেবল ভ্লাদিমির পুতিনকে পুনরায় শস্যচুক্তিতে ফেরাতে বলে মন্তব্য করেছে ইউক্রেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা এ মন্তব্য করেন। খবর আনাদোলুর।
ইউক্রেনের স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে কুলেবা বলেন, রাশিয়াকে পুনরায় শস্যচুক্তিতে ফেরাতে ইউক্রেন তুরস্ককে সহযোগিতা করছে। তুরস্কও রাশিয়াকে সহযোগিতা করছে। এ বিষয়ে উভয়ের আগ্রহ আছে। এরদোয়ান একমাত্র নেতা যিনি রাশিয়াকে শস্যচুক্তিতে ফেরাতে পারেন।
আরও পড়ুন : তুরস্কের দিকে তাকিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র : ব্লিঙ্কেন
এর আগে গত ২১ জুলাই একই সুরে কথা বলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, রাশিয়াকে শস্যচুক্তিতে ফেরাতে তুরস্কের দিকে তাকিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা এ অঞ্চলে যে কোনো পদক্ষেপ নিতে প্রধান সহায়ক শক্তি হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘের সঙ্গে প্রথম সারিতে থেকে কাজ করছে দেশটি।
এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, বিশ্বের উচিত রাশিয়ার দাবি মেনে নেওয়া। তাদের দাবি না মানলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট ও খাদ্যপণ্যে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। ফলে অভিবাসন সংকট আরও প্রকট হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জুলাইয়ে রাশিয়া ইউক্রেনের মাঝে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণ সাগরে বছরব্যাপী শস্য রপ্তানির চুক্তি হয়। তবে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ১৭ জুলাই থেকে রাশিয়া পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি তাদের সার ও খাদ্য রপ্তানি বিধিনিষেধ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত এ করিডোরে শস্য রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। রাশিয়ার দাবি, পশ্চিমা বিশ্বের দেওয়া শস্য ও সার রপ্তানিতে বিধিনিষেধ তুলে নিলেই করিডোর পুনরায় চালু করা হবে।
অন্যদিকে ইউক্রেন বলেছে, রাশিয়া সহযোগিতা করুক আর না-ই করুক তারা বিশ্বে শস্য রপ্তানি চালিয়ে যাবে। কেননা বিশ্বকে খাদ্য সংকটে ফেলার একক অধিকার কারও নেই। জাতিসংঘ বলছে, রাশিয়ার এমন পদক্ষেপ বিশ্ব খাদ্য পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলবে।
মন্তব্য করুন