ঘুম থেকে উঠেই অবাক কাণ্ডের মুখোমুখি হয়েছেন নরওয়ের এক বাসিন্দা। তিনি জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার বাড়ির সামনের বাগানে আটকে রয়েছে বিরাট এক কন্টেইনারবাহী জাহাজ। তবে অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (২৩ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় হান হেলবার্গ নামে নরওয়ের এক বাসিন্দার বাড়ি থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে এসে আটকে যায়। জাহাজটির দৈর্ঘ্য ছিল ১৩৫ মিটার। তবে এতে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে তিনি নিজে বেঁচে গিয়েছেন।
হেলবার্গকে এই ঘটনার বিষয়ে সতর্ক করেন তার প্রতিবেশী। তিনি জাহাজটিকে সরাসরি তীরের দিকে আসতে দেখেছিলেন। হেলবার্গ টিভি২-কে বলেন, তিনি যখন আমার দরজায় বেল বাজিয়েছিলেন তখন আমি দরজা খুলতে পছন্দ করি না।
তিনি গার্ডিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি জানালার কাছে গিয়ে একটি বিশাল জাহাজ দেখে হতবাক হয়ে গেলাম। এটি এতটাই অবিশ্বাস্য ছিল যে আমাকে ঘাড় বাঁকিয়ে জাহাজের উপরের অংশ দেখতে হয়েছে।
নরওয়েজিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে তিনি বলেন, আরও পাঁচ মিটার দক্ষিণে হলে এটি আমার শোবার ঘরে ঢুকে যেত। আমি কিছুই শুনিনি।
প্রতিবেশী জোস্টেইন জর্গেনসেন বলেন, তিনি জাহাজটির শব্দে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন যখন এটি পূর্ণ গতিতে তীরের দিকে আসছিল। তখন তিনি হেলবার্গের বাড়িতে ছুটে যান।
তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত ছিলাম যে তিনি ইতিমধ্যে বাইরে আছেন, কিন্তু না, কোনো জীবনের চিহ্ন ছিল না। আমি বারবার দরজার বেল বাজালাম, কিন্তু কিছুই হলো না। পরে ফোনে কল করার পরই আমি তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছি।
সাইপ্রাসের পতাকাবাহী এই কার্গো জাহাজ এনসিএল সালটেন ট্রন্ডহেইম ফজর্ড দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমে ওরকাঙ্গারের দিকে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারায়। এ সময় জাহাজে ১৬ জন লোক ছিল। তবে এই ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ এখনো জানা যায়নি। এ ঘটনায় নরওয়েজিয়ান পুলিশ তদন্ত করছে। জাহাজটি ২০২৩ সালে এর আগেও আটকে গিয়েছিল, তবে নিজের শক্তিতে মুক্ত হতে পেরেছিল।
মন্তব্য করুন