

ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর অধিকাংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। বর্তমানে দেশটিতে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চল অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে । যেখানে বিদ্যুৎ আছে সেখানেও ৮ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎবিভ্রাট ঘটছে।
দেশটির বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ইউক্রেনেরর্গো জানায়, হামলার জেরে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যের’ কোঠায় নেমে এসেছে। ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ অবকাঠামো মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। বিকল্প উৎস থেকে সরবরাহ নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
গত শনিবার ইউক্রেনের জ্বালানিমন্ত্রী ভিতলানা গ্রিনচুক জানিয়েছেন, কিয়েভ, নিপ্রোপেত্রাভস্ক, দোনেৎস্ক, খারকিভ, পলতাভা, চেরনিহিভ ও সুমিতে সরবরাহ কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। তবে সেখানে নিয়মিত বিদ্যুৎবিভ্রাট থাকবে।
গত কয়েক মাসে ইউক্রেনে হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া। বিশেষ করে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত কয়েক শ ড্রোন হামলা চালিয়েছে মস্কো। ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন।
শুধু তাই নয়, স্থল অভিযান জোরদারে আফ্রিকার ৩৬টি দেশের ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষকে সেনা দলে অন্তর্ভুক্ত করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই সাইবিহা নতুন দাবিটি করেছেন। পাশাপাশি তিনি সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, নাগরিকদের এ যুদ্ধে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করুন। আফ্রিকার সরকারগুলোর প্রতি এটি আমার আহ্বান।
রাশিয়ার পক্ষে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে ভিনদেশীরা। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দীর্ঘদিন থেকে এ দাবি করে আসছেন। দক্ষিণ কোরিয়া ব্যাপক তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের অভিযোগও করেছে। এ ছাড়া এশিয়ার দেশ থেকেও নাগরিকরা রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধে যাচ্ছে বলে হরহামেশা শোনা যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন