

দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ায় অভিবাসন ও আশ্রয়নীতি কঠোর করার ঘোষণা দিয়েছে আয়ারল্যান্ড। বুধবার (২৬ নভেম্বর) দেশের বিচারমন্ত্রী জিম ওকালাহান বলেছেন, বাড়তি মানুষ, আবাসন সংকট এবং সরকারি সেবার ওপর চাপ সামলাতে এই পদক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে।
আয়ারল্যান্ডের জনসংখ্যা গত বছর ১.৬ শতাংশ বেড়েছে। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের গড় বৃদ্ধির চেয়ে অনেক বেশি। এপ্রিলে মোট জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৪ লাখ ৬০ হাজারে। ২০২২ সালের পর থেকে নিট অভিবাসনও দ্বিগুণ হয়েছে। বছরে প্রায় ৭২ হাজার মানুষ এসেছে মূলত কর্মসংস্থান ও পরিবারের জন্য। আর ইউক্রেনের শরণার্থীরা তো আছেই।
২০২৪ সালে রেকর্ড ১৮ হাজার ৬৫১ জন আশ্রয়ের আবেদন করেন। এ কারণে মাঝে মধ্যে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষও ঘটছে।
নতুন নিয়মে কী আছে?
চাকরিতে থাকা আশ্রয়প্রার্থীদের সাপ্তাহিক আয়ের ১০-৪০% আবাসন খরচ হিসেবে সরকারকে দিতে হবে। ইইএভুক্ত নয়, এমন দেশের আত্মীয় আনতে চাইলে বছরে কমপক্ষে ৪৪ হাজার ইউরো আয়ের প্রমাণ দেখাতে হবে। নাগরিকত্ব পেতে থাকার সময় ৩ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫ বছর করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ভাতা নেওয়া হলে নাগরিকত্ব মিলবে না। নিরাপত্তা হুমকি বা গুরুতর অপরাধে দোষী হলে আশ্রয়ের মর্যাদা বাতিল করা যাবে। কিছু শিক্ষার্থী ভিসা অপব্যবহার হওয়ায় সেখানেও কড়াকড়ি আনার চিন্তা চলছে।
মন্তব্য করুন