আরও দুই রুশ নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। বুধবার (২৯ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্ত এ দুই ব্যক্তি ইসরায়েল ও রাশিয়ার যৌথ নাগরিক। তাদের রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে হামাস।
হামাস জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি সহমর্মিতার অংশ হিসেবে এ দুই জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার আরও ১২ ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এ সময় ৩০ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। এটি ছিল পঞ্চম বন্দি বিনিময়।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার ১০ ইসরায়েলি এবং ২ থাই নাগরিককে মুক্তি দেয় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস।
চলমান পরিস্থিতিতে গাজায় অবস্থানরত ফিলিস্তিনিরা আশা করছেন ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরোধী আরও বাড়বে। কারণ, ইসরায়েলি বোমা হামলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করার জন্য প্রচুর পরিমাণে ত্রাণ প্রয়োজন।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এখনো ৬০ জন ফিলিস্তিনি নারীকে কারাগারে আটকে রেখেছে। মঙ্গলবার একটি স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা জানিয়েছে, তাদের অধিকাংশকেই ৭ অক্টোবরের পর আটক করা হয়েছে।
এর আগে আনাদোলুকে প্যালেস্টাইন প্রিজনার্স সোসাইটির (পিপিএস) মিডিয়া অফিসার আমাল সারাহনেহ বলেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ৭ অক্টোবরের পরে অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে বড় ধরনের গ্রেপ্তার অভিযান চালিয়েছে। এ সময় ৫৬ ফিলিস্তিনি নারী ও কিশোরীকে আটক করা হয়। এখনো ৩২৬০ জনকে আটক রাখা হয়েছে।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গাজা উপত্যকায় আরও দুদিনের জন্য যুদ্ধবিরতি বাড়ানো হয়েছে। একই শর্ত অনুসারে অস্থায়ী মানবিক এ যুদ্ধবিরতি বাড়ানো হয়েছে। ইসরায়েল এবং হামাসের সাথে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছে কাতার এবং মিসর।
মন্তব্য করুন