তেহরান-তেলআবিবের মধ্যে যুদ্ধাবস্থার মধ্যে নতুন মোড় নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্য উত্তেজনা। ইসরায়েল ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এবার ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি টেলিফোনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন। আলাপে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর ব্লুমবার্গ ও রয়টার্সের।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুই দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে এ ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বলেন, ইসরায়েলে ইরানের হামলার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সব পক্ষ সংযত আচরণ করবে এমন প্রত্যাশা আমার। সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, সীমান্ত উত্তেজনা এই অঞ্চলে সর্বনাশা পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে।
হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধের মধ্যেই দুই দেশের এমন যুদ্ধাবস্থায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এই অঞ্চলে। পুতিন আশা প্রকাশ করে বলেন, কোনো পক্ষই যুদ্ধাবস্থা তৈরি করবে না।
পুতিনের ইরানের প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলের হামলার গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, হামলা সীমিত আকারে হয়েছে। আর আক্রমণের চিন্তা নেই ইরানের।
দুই প্রেসিডেন্টই একমত হন বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের শেষ না হওয়া। দুই নেতাই অনতিবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আহ্বান জানান।
তারা দুজন রাশিয়া-ইরান সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন। ভবিষ্যতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে গুরুত্ব দেন তারা।
ইরান ও রাশিয়া ঘনিষ্ঠ মিত্র। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে তেহরান মস্কোকে যে সামরিক সহায়তা দিয়েছে তার বিনিময়ে রাশিয়া ইরানের আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও যুদ্ধবিমান উন্নত করতে সহযোগিতা করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে ইসরায়েল পাল্টা কোনো হামলা চালালে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান। সেই পদক্ষেপ হবে আরও কঠোর ও ভয়াবহ।
এমন হুংকার দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাগেরি কানি।
প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এক বিবৃতিতে বলেন, ইরান মনে করে ইসরায়েলকে একটি উচিত শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরানের স্বার্থের ওপর যে কোনো ধরনের আগ্রাসন চালানো হলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে।
হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ, যা ইরানের আত্মরক্ষার বৈধ অধিকারের আওতায় পড়ে। আমাদের দেশের স্বার্থের ওপর ইসরায়েলি আক্রমণের প্রতিক্রিয়া এটি।’ এ সময় আবার আক্রান্ত হলে যে কোনো পদক্ষেপের জন্য ইরান প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন