ইরানের হামলার জবাবে পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ইসরায়েল। তারা মিত্রদের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় আছে। এ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ সময় কড়া ভাষায় ইসরায়েলের সমালোচনা করলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) মন্ত্রিসভার এক সভা শেষে আঙ্কারায় সংবাদ সম্মেলনে এরদোয়ান ইরান-ইসরায়েল নিয়ে কথা বলেন। এতে চীনের পর তুরস্কে মন্তব্য ইরানের পক্ষে গেল।
রিসেপ তাইয়ের এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সরকার মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার জন্য দায়ী।
তিনি বলেন, ইসরায়েল একটি আঞ্চলিক সংঘাত উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে। দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে হামলা ছিল তারই পরিকল্পনার অংশ।
এরদোয়ান বলেন, যতদিন গাজায় নিষ্ঠুরতা ও গণহত্যা অব্যাহত থাকবে ততদিন আঞ্চলিক সংঘাত থাকবে। এ থেকে উত্তরণে সব পক্ষকে কাণ্ডজ্ঞানের পরিচয় দিতে হবে।
এ সময় তিনি পশ্চিমাদের প্রতি নিন্দা জানান। কারণ, হিসেবে বলেন, তারা ইসরায়েলে ইরানের হামলার নিন্দায় ব্যস্ত, অথচ সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে হামলার ঘটনায় চুপ ছিল।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে নিজেদের কনস্যুলেটে হামলার জবাবে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে ইরান। গত শনিবার রাতের এ হামলায় শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে দেশটি।
ইরানের নজিরবিহীন হামলার জবাব দিতে দেশটির ওপর সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। সোমবার (১৫ এপ্রিল) ইসরায়েলি স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু। এতে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ইরান বলছে, তারা নতুন করে উত্তেজনা চায় না। তবে আক্রমণের শিকার হলে সেকেন্ডের ব্যবধানে জবাব দেবে।
বিষয়টি নিয়ে সোমবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর কথা হয়। ওই ফোনালাপেও ইসরায়েলে হামলা এবং পরের পরিস্থিতি নিয়ে একই অবস্থান জানায় ইরান।
পরে চীন বলে, ইরান তার সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষা করে পরিস্থিতি ভালোভাবেই সামাল দিয়েছে বলে চীন বিশ্বাস করে। এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে আরও উত্তেজনা এড়াতেও ইরান সক্ষম। সে সঙ্গে ইরানের কনস্যুলেটে হামলারও নিন্দা জানায় চীন।
মন্তব্য করুন