ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় যেতে পারেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরকালে তাকে গ্রেপ্তারের যে কোনো ধরনের চেষ্টা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হবে বলে মনে করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। খবর আলজাজিরা।
গতকাল মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) আদালতে দেওয়া এক বয়ানে এ কথা জানান রামাফোসা। আদালতকে তিনি জানান, বর্তমান রুশ প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তার করার মানে হবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল, ক্রেমলিন বিষয়টি স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে।
আগামী মাসে জোহানেসবার্গে ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে যোগদানের জন্য পুতিনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ সম্মেলনে পুতিনের যোগদান নিয়ে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতি পড়েছেন রামাফোসা। কেননা ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গত মার্চে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ ধরনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে সে ব্যক্তি যদি সংস্থাটির কোনো সদস্য দেশের ভূখণ্ডে পা রাখেন তাহলে তাকে ওই দেশ গ্রেপ্তার করতে বাধ্য। দক্ষিণ আফ্রিকার এ সংস্থার সদস্য।
এমন নিয়ম সামনে রেখেই পুতিনকে গ্রেপ্তারের পর আইসিসির কাছে সোপর্দের দাবি জানিয়ে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরোধী দলগুলো। এমনকি এ বিষয়ে সুরাহার জন্য তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
তবে আইসিসির নিয়মে এ-ও আছে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা দেখা দেলে দেশের আদালতের পরামর্শ নেওয়া যাবে। আর এ ক্ষেত্রে কূটনৈতিক অব্যাহতি নিয়ে আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘনের প্রয়োজন হলে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাস্তবায়নের অনুমতি না-ও দিতে পারেন।
বিরোধীদের দাবির জবাবে রামাফোসা আদালতকে জানান, তাদের এ দাবি দায়িত্বজ্ঞানহীন। দক্ষিণ আফ্রিকা আইসিসির নিয়মের ভেতরে থেকেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাস্তবায়ন থেকে অব্যাহতি চাইছে। কেননা এতে দেশের নিরাপত্তা, শান্তি ও শৃঙ্খলা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর ঝুঁকি নেওয়া আমাদের সংবিধানের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ হবে। এটি দেশকে রক্ষায় আমার যে দায়িত্ব তার বিরুদ্ধেও যাবে।’
মন্তব্য করুন