কখনো করছেন হুইলিস বা সার্কেল। আবার কখনো হাত ছেড়ে চালাচ্ছেন বাইক। সুযোগ বুঝে রিয়ার হুইলিংও করছেন। হলিউডের সিনেমায় প্রায়ই এমন স্ট্যান্টের দেখা মেলে।
মোটরবাইকে করে এমন স্ট্যান্টবাজি সাধারণত পুরুষদের করতে দেখা যায়। কিন্তু নারীরাও যে স্ট্যান্ট করে তাক লাগাতে পারেন, তা প্রমাণ করে দিয়েছেন এক তরুণী।
নিজের স্ট্যান্ট দিয়ে মুগ্ধ করেছেন সবাইকে। কাজ করেছেন হলিউডের সিনেমায়ও।
এরই মধ্যে বিশ্বের সেরা স্ট্যান্টওম্যান হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন সারাহ ভিগনট। তবে তিনি সারাহ লেজিটো নামেই বেশি পরিচিত।
ফ্রান্সের এপেরনেতে জন্ম নেওয়া সারাহ আর দশটা সাধারণ মেয়ের মতোই ছিলেন। কিন্তু ১৩ বছর বয়সে মোটরস্পোর্টসের প্রতি নিজের আগ্রহ খুঁজে পান লেজিটো। সেই থেকে শুরু।
এরপর ১৬ বছর বয়সে লেজিটো নিজের প্রথম মোটরসাইকেল ইয়ামাহা ডিটি-১২৫-এক্স সুপারমোটো চালানো শুরু করেন।
পেশাদার স্ট্যান্ট রাইডার সারাহকে লেজিটো ডাকনাম দিয়েছেন তার বোন। ইনোলজি বা ওয়াইন নিয়ে পড়াশোনা করতে কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন লেজিটো। কিন্তু পরে পূর্ণকালীন স্ট্যান্ট রাইডার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ায় মন দেন তিনি।
বর্তমানে ৩১ বছর বয়সী লেজিটো কাওয়াসাকি জেডএক্স-৬আর চালান। এই বাইকে করেই প্রতিদিন কমপক্ষে এক ঘণ্টা করে বাইকের ভেলকি দেখান তিনি।
লেজিটো খুব সহজেই হুইলিস, সার্কেল, ১৮০ ডিগ্রি এবং হাত ছেড়ে বাইক চালাতে পারেন। তবে তার পছন্দের স্ট্যান্ট হচ্ছে ফ্লিপ স্টপিস এবং রিয়ার হুইলিং।
আর এসব করা কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা লেজিটোর ভিডিওতে বিভিন্ন স্ট্যান্ট দেখা যায়। কখনো দেখা যায় স্টপিস করছেন। আবার কখনো স্নোবোর্ডিং, ডার্টবাইক রাইডিং এবং সাইক্লিংয়ের মতো স্ট্যান্ট করেন তিনি। এসব সব স্ট্যান্ট করে হলিউডের নজরও কাড়তে সক্ষম হন এই তরুণী।
হলিউডের জনপ্রিয় সিনেমা দ্য অ্যাভেঞ্জারস টু-য়ে একটি ইলেকট্রিক হার্লে-ডেভিডসন লাইভওয়্যারে স্কারলেট জোহানসনের স্ট্যান্ট ডাবল হিসেবে পারফর্ম করেন এই রাইডার।
তাই ব্লাক উইডো চরিত্রে মোটরসাইকেল যত স্ট্যান্ট করেছেন জোহানসন, সেগুলো আসলে লেজিটোর করা।
এ ছাড়া টম হ্যাংকস অভিনীত একটি মিস্ট্রি থ্রিলার সিনেমায় ৩০০ কেজি ওজনের বিএমডব্লিউ ‘R1200RT’ চালাতে দেখা যায় লেজিটোকে।
তবে লেজিটোর জন্য এই যাত্রাটা খুব সহজ ছিল না। কতবার যে বাইক থেকে পড়েছেন। শরীরে হয়েছে ফ্রাকচার, তারপরও দমে যাননি।
প্রতিদিন নিয়ম করে প্র্যাকটিস করেছেন তিনি। তার ভাষায় নতুন কোনো স্ট্যান্ট করতে গেলে, মস্তিষ্কের সঙ্গে কয়েক সেকেন্ডের জন্য সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হয়, যেন পড়ে যাওয়ার কথা ভুলে থাকা যায়।
মন্তব্য করুন