কৃষ্ণসাগরে নৌ-অবরোধ কার্যকর করতে মহড়া চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সঙ্গে শস্য চুক্তি থেকে সরে এসে এ অঞ্চলে চলাচলকারী জাহাজগুলোকে সম্ভাব্য যুদ্ধাস্ত্র বাহক হিসেবে ধরে নেওয়া হবে এমন ঘোষণা দেওয়ার পর তারা এ মহড়া চালিয়েছে।
শুক্রবার (২১ জুলাই) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ এলাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখতে এ মহড়া চালানো হয়েছে। এ এলাকায় চলাচলকারী জাহাজগুলোকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আটক করা হবে।
মন্ত্রণালয় বলছে, মহড়া চলাচালে রাশিয়ার পেট্রল বোট থেকে একটি জাহাজকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। এতে করে একটি জাহাজ ধ্বংস করেছে তারা।
গত ১৭ জুলাই ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণসাগরে বছরব্যাপী শস্য রপ্তানি সহযোগিতার চুক্তি বাতিল করে রাশিয়া। দেশটির দাবি, পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার খাদ্য ও সার রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে তারা আবারও কৃষ্ণসাগরকে উন্মুক্ত করে দিবে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, শস্য চুক্তি সহযোগিতার আওতায় নিরাপত্তার বিষয়টি বৃহস্পতিবার থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনগামী জাহাজগুলোকে এখন থেকে সম্ভাব্য অস্ত্রবাহী জাহাজ হিসেবে গণ্য করা হবে। এ ছাড়া জাহাজের পতাকাকে ইউক্রেন যুদ্ধে কিয়েভের পক্ষশক্তি হিসেবে ধরা হবে।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে একই ধরনের সতর্কবার্তা দিয়েছে ইউক্রেন। তারা কৃষ্ণসাগরকে রাশিয়াগামী জাহাজের জন্যও বিপজ্জনক এলাকা ঘোষণা করেছে।
সূত্র : আলজাজিরা।
মন্তব্য করুন