সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
দ্য ডিপ্লোম্যাটের নিবন্ধ

ভারতকে কূটনৈতিক ধাঁধায় ফেলতে পারে শেখ হাসিনা ইস্যু

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি : সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি : সংগৃহীত

গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে নিয়ে ভারতের ওপর ক্রমেই চাপ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে এ ইস্যুতে নিবন্ধ প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম দ্য ডিপ্লোমাট।

এতে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে নিয়ে নয়াদিল্লির ওপর চাপ বাড়ছে। এটি ভারতকে কূটনৈতিক ধাঁধায় ফেলে দিতে পারে। এমনকি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কও পরীক্ষার মুখে পড়তে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনগত দিক দিয়ে ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে বাধ্য। ২০১৩ সালের বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার প্রত্যার্পণ চুক্তির বিষয়টি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এই চুক্তির ধারা অনুসারে শেখ হাসিনাকে ভারতের ফেরত দিতে হবে। তবে কিছু ধারা দেখিয়ে তারা প্রত্যার্পণে অস্বীকৃতিও জানাতে পারে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত হত্যা, নির্যাতন, গুম, গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অসংখ্য মামলা হয়েছে। ফলে তাকে এখন ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়াটাও জটিল হতে পারে।

দ্য ডিপ্লোমাট জানিয়েছে, ভারত কয়েকটি কারণ দেখিয়ে শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিতেও পারে। তবে এমনটি করলে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।

২০১৩ সালেরপ্রত্যার্পণ চুক্তিতে যা বলা আছে

ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ২০১৩ সালে প্রত্যার্পণ চুক্তি হয়। এরপর ২০১৬ সালে চুক্তিটি সংশোধন করা হয়। এতে বলা হয়, কোনো অভিযুক্ত ব্যাক্তির সেই মামলায় এক বছর বা তার বেশি কারাদণ্ডের সম্ভাবনা থাকলে তাকে ফেরত দিতে হবে।

তবে চুক্তির ৬ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, কোনো দেশ যদি মনে করে যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা হয়েছে তাহলে তাকে প্রত্যার্পণে অস্বীকৃতি জানাতে পারবে। একই ধারায় বলা হয়েছে, হত্যা, সন্ত্রাসবাদ ও অপহরণের মতো অপরাধগুলো রাজনৈতিক অভিযোগ হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হওয়া যেসব মামলা হয়েছে তার সবগুলো হত্যা, অপহরণ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো বিবেচনায় ভারত ৬ নম্বর ধারা অনুসারে অস্বীকৃতি জানানোর সুযোগ নেই।

অন্যদিকে চুক্তির ৮ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ‘অসৎ নিয়তে’ কারও বিরুদ্ধে মামলা হলে তাকে ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানানো যাবে। ভারত এ ধারাটি ব্যবহার করতে পারে। তারা অসৎ নিয়তে মামলা হয়েছে বলে দাবি করতে পারে।

ভারতের অন্যতম মিত্র ছিলেন শেখ হাসিনা। ফলে ভারতের পক্ষ থেকে এ ধারায় সমর্থন পেতে পারেন তিনি। তবে বাংলাদেশ সরকার তাকে ফেরত চাওয়ার পর ফেরত দেওয়া না হলে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সোনারগাঁয়ে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন

মা ইলিশ রক্ষায় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার টহল

ন্যাশনাল পিপলস যুব পার্টির মাদকবিরোধী আলোচনা সভা

নিউমার্কেটে চুরির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম, নগদ টাকাসহ গ্রেপ্তার ১

আন্দোলনরত শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করায় ছাত্রশিবিরের নিন্দা

শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংকের বিবৃতি

কক্সবাজার আদালতে বিচারকের মোবাইল-মানিব্যাগ চুরি

পাঠ্যপুস্তক ছাপার দায়িত্ব হস্তান্তর ‘মাথাব্যথায় মাথা কাটার মতো সিদ্ধান্ত’ : টিআইবি

বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়ে ভারতকে হারাল অস্ট্রেলিয়া

মৌসুমি বায়ুসহ আগামী ৪ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস

১০

চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা

১১

এবার উপদেষ্টাদের নিয়ে মুখ খুললেন সামান্তা শারমিন

১২

ঢাকায় আসছেন জাকির নায়েক

১৩

ছক্কা মেরে ইতিহাস গড়লেন স্মৃতি মান্ধানা!

১৪

উপদেষ্টা রিজওয়ানাকে এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি

১৫

একটি দল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় : কফিল উদ্দিন 

১৬

চাকসু নির্বাচনে নতুন প্রত্যয়ে ছাত্রদল

১৭

বন্দর ব্যবসায়ী নেতারা / মাশুল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধের ষড়যন্ত্রের অংশ

১৮

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নিয়ে ৬ হাজারের বেশি মতামত পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

১৯

জুলাইয়ের গাদ্দারদের সব রেকর্ড প্রকাশ করা হবে : মুনতাসির

২০
X