শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
দ্য ডিপ্লোম্যাটের নিবন্ধ

ভারতকে কূটনৈতিক ধাঁধায় ফেলতে পারে শেখ হাসিনা ইস্যু

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি : সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি : সংগৃহীত

গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে নিয়ে ভারতের ওপর ক্রমেই চাপ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে এ ইস্যুতে নিবন্ধ প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম দ্য ডিপ্লোমাট।

এতে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে নিয়ে নয়াদিল্লির ওপর চাপ বাড়ছে। এটি ভারতকে কূটনৈতিক ধাঁধায় ফেলে দিতে পারে। এমনকি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কও পরীক্ষার মুখে পড়তে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনগত দিক দিয়ে ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে বাধ্য। ২০১৩ সালের বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার প্রত্যার্পণ চুক্তির বিষয়টি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এই চুক্তির ধারা অনুসারে শেখ হাসিনাকে ভারতের ফেরত দিতে হবে। তবে কিছু ধারা দেখিয়ে তারা প্রত্যার্পণে অস্বীকৃতিও জানাতে পারে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত হত্যা, নির্যাতন, গুম, গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অসংখ্য মামলা হয়েছে। ফলে তাকে এখন ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়াটাও জটিল হতে পারে।

দ্য ডিপ্লোমাট জানিয়েছে, ভারত কয়েকটি কারণ দেখিয়ে শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিতেও পারে। তবে এমনটি করলে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।

২০১৩ সালেরপ্রত্যার্পণ চুক্তিতে যা বলা আছে

ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ২০১৩ সালে প্রত্যার্পণ চুক্তি হয়। এরপর ২০১৬ সালে চুক্তিটি সংশোধন করা হয়। এতে বলা হয়, কোনো অভিযুক্ত ব্যাক্তির সেই মামলায় এক বছর বা তার বেশি কারাদণ্ডের সম্ভাবনা থাকলে তাকে ফেরত দিতে হবে।

তবে চুক্তির ৬ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, কোনো দেশ যদি মনে করে যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা হয়েছে তাহলে তাকে প্রত্যার্পণে অস্বীকৃতি জানাতে পারবে। একই ধারায় বলা হয়েছে, হত্যা, সন্ত্রাসবাদ ও অপহরণের মতো অপরাধগুলো রাজনৈতিক অভিযোগ হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হওয়া যেসব মামলা হয়েছে তার সবগুলো হত্যা, অপহরণ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো বিবেচনায় ভারত ৬ নম্বর ধারা অনুসারে অস্বীকৃতি জানানোর সুযোগ নেই।

অন্যদিকে চুক্তির ৮ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ‘অসৎ নিয়তে’ কারও বিরুদ্ধে মামলা হলে তাকে ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানানো যাবে। ভারত এ ধারাটি ব্যবহার করতে পারে। তারা অসৎ নিয়তে মামলা হয়েছে বলে দাবি করতে পারে।

ভারতের অন্যতম মিত্র ছিলেন শেখ হাসিনা। ফলে ভারতের পক্ষ থেকে এ ধারায় সমর্থন পেতে পারেন তিনি। তবে বাংলাদেশ সরকার তাকে ফেরত চাওয়ার পর ফেরত দেওয়া না হলে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কমাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র   

আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ৪২ জনকে স্ট্যান্ড রিলিজ

 ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘তুই’ বলায় তুমুল সংঘর্ষ, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বর্জন

আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই : গণতন্ত্র মঞ্চ 

চার দেশে বন্যায় ১৫০০ মৃত্যুর পর নতুন আতঙ্ক

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত

শাহজালালে ‘এয়ারপোর্ট মিনি ফায়ার এক্সারসাইজ-২০২৫’ সম্পন্ন

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম

ইউএনও হলেন লাক্স সুন্দরী সোহানিয়া

তারেক রহমানের ৩১ দফায় বদলে যাবে শরীয়তপুর : নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু

১০

এরশাদ-হাসিনা কারও সঙ্গেই আপস করেননি খালেদা জিয়া : মিল্লাত

১১

মান্নাকে ইসলামী ব্যাংকের চূড়ান্ত নোটিশ, আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি

১২

সব দল ইসলামের পতাকাতলে সমবেত হবে ইনশাআল্লাহ : অধ্যাপক মুজিবুর

১৩

মনোনয়নের খবর শুনে উচ্ছ্বাস, কিছুক্ষণ পর বিএনপি নেতার মৃত্যু

১৪

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যা / সাবেক বিচারপতি-হুইপসহ ১৫৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট

১৫

ইসলামের বিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

১৬

ববি উপাচার্য দপ্তরে ‘মুলা’ ঝুলিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ

১৭

ধেয়ে আসছে তীব্র শীত, দফায় দফায় শৈত্যপ্রবাহ

১৮

‘বাকসু’ নিজেদের রাখতে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি

১৯

নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে ২ রাজনৈতিক দল

২০
X