কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৫, ১০:৩১ পিএম
আপডেট : ০৭ মে ২০২৫, ১০:৩৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চেনেন কে এই উইং কমান্ডার ব্যোমিকা?

বায়ুসেনার উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। ছবি : সংগৃহীত
বায়ুসেনার উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। ছবি : সংগৃহীত

জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। দেশটি পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি শহরে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এ যুদ্ধে পাকিস্তানকে জবাব দিচ্ছেন ভারতের ‍দুই নারী কর্মকর্তা। তাদের একজন কমান্ডার ব্যোমিকা সিং।

বুধবার (০৭ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮-এর এক প্রতিবেদনে তার পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জবাবে পাকিস্তানের ৯ জায়গায় হামলা চালিয়েছে ভারত। এ হামলার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর দুই নারী কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং বায়ুসেনার উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং।

কে এই কমান্ডার ব্যোমিকা সিং? ব্যোমিকার ছোট থেকে স্বপ্ন ছিল পাইলট হওয়ার। বড় হয়ে নিজের সেই স্বপ্নপূরণ করেছেন তিনি। ভারতের বায়ুসেনায় যোগ দিয়ে পাইলট হয়েছে ব্যোমিকা। এমনকি পাকিস্তানে হামলার জবাবও দিয়েছেন তিনি।

ব্যোমিকার সঙ্গে অপারেশনে কাজ করেছেন আরেক মুসলিম নারী। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এবারই প্রথমবার দেশটির কোনো বড় সামরিক অভিযানের ওপর আনুষ্ঠানিক প্রেস ব্রিফিংয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন কোনো নারী সেনা অফিসার।

সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বলছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে তাদের দৃঢ় বক্তব্য কেবল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের দৃঢ়প্রতিজ্ঞতাই নয়, বরং সশস্ত্র বাহিনীতে নারীদের ক্রমবর্ধমান শক্তির প্রতিফলনেরই প্রকাশ।

কে এই কর্নেল সোফিয়া কুরেশি?

কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘কোর অব সিগন্যালস’-এর একজন দক্ষ ও সম্মানিত কর্মকর্তা। তিনি ভারতের প্রথম নারী সেনা কর্মকর্তা হিসেবে বহুজাতিক সামরিক মহড়ায় একটি ভারতীয় সেনা দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন।

২০১৬ সালে তিনি ‘এক্সারসাইজ ফোর্স ১৮’ নামে ভারতের আয়োজিত বৃহত্তম সামরিক মহড়ায় নেতৃত্ব দেন, যেখানে ১৮টি দেশের সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ ছিল। সেখানে কুরেশি ছিলেন একমাত্র নারী কমান্ডার।

গুজরাটের বাসিন্দা কুরেশি বায়োকেমিস্ট্রিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। তার পরিবারে সামরিক ঐতিহ্য রয়েছে — তার দাদা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন এবং তার স্বামী মেকানাইজড ইনফ্যান্ট্রির একজন কর্মকর্তা।

তিনি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে ছয় বছর দায়িত্ব পালন করেছেন, যার মধ্যে ২০০৬ সালে কঙ্গোর মিশনে তার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। কুরেশির মতে, এসব মিশনে তার দায়িত্ব ছিল মানবিক সহায়তা ও সংঘর্ষপূর্ণ অঞ্চলে যুদ্ধবিরতির পর্যবেক্ষণ করা।

তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘দেশের জন্য কঠোর পরিশ্রম করা উচিত — এটি একটি গর্বের মুহূর্ত।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: কাশ্মীর হামলা
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা চালিয়ে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা

রাকসুর জন্য পারমানেন্ট মার্কার আমদানি করেছি : প্রধান নির্বাচন কমিশন

এক বাসের ধাক্কায় আরেক বাস খাদে, প্রাণ গেল নারীর

বেড়াতে যাওয়ার পথে অপহরণ, চার মাস পর কিশোরীকে উদ্ধার

চার জেলায় নতুন ডিসি

ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা

জকসু নির্বাচনে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে পৃথক বুথ

রাকসুতে কোন ভবনে কত ভোট, কার কেন্দ্র কোনটি

সাভারে আবাসিক হোটেল থেকে ৯ নারীসহ আটক ২২

বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নারীসহ নিহত ৩

১০

‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ অধ্যাদেশ নিয়ে অংশীজনদের সভার তারিখ নির্ধারণ

১১

‘তিন গোয়েন্দা’ সিরিজের রকিব হাসান আর নেই

১২

সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশ নিয়ে ৬ হাজারের বেশি মতামত পেল মন্ত্রণালয়

১৩

ল্যাবএইডের কর্ণধার সাকিফ শামীমকে নিয়ে ফিচার করল ‘ইউএসএ টুডে’

১৪

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত

১৫

চাকসু নির্বাচন বর্জন এক প্যানেলের

১৬

খতমে নবুওয়তের মহাসম্মেলন সফল করতে মুন্সীগঞ্জে উলামায়ে কেরামের মতবিনিময় সভা 

১৭

সাংবাদিককে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি শ্রমিক লীগ নেতার

১৮

ব্লকেড উঠিয়ে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা শিক্ষকদের

১৯

ইউরোপের ৩ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক

২০
X