মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৫, ০৮:৫৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শত কোটির সড়কের মাঝেই কেন দাঁড়িয়ে আছে গাছ!

পাটনা-গয়া প্রধান সড়কের মাঝে সারি সারি গাছ। ছবি : সংগৃহীত
পাটনা-গয়া প্রধান সড়কের মাঝে সারি সারি গাছ। ছবি : সংগৃহীত

ভাবুন তো, আপনি ছুটে চলেছেন একটি প্রশস্ত ও মসৃণ সড়ক ধরে, চারপাশে সবুজ গাছপালা, নির্মল বাতাস, আর মাথার ওপর ছায়া। হঠাৎ করে মাঝপথেই চোখের সামনে চলে এলো গাছের সারি! সেই স্বপ্নময় যাত্রা মুহূর্তেই রূপ নিল ভয়ানক দুঃস্বপ্নে।

শুধু কল্পনা নয়, ভারতের বিহার রাজ্যের জেহানাবাদ জেলায় এমনই বাস্তব এক ঘটনা ঘটেছে। পাটনা থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে সম্প্রতি ১০০ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত একটি রাস্তা এখন পরিচিতি পেয়েছে ‘সাজানো মৃত্যুপুরী’ হিসেবে। কারণ, এই সম্প্রসারিত সড়কের মাঝখানেই দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য গাছ!

৭.৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পাটনা-গয়া প্রধান সড়কের এই নতুন অংশজুড়ে গাছগুলো এমনভাবে রাখা হয়েছে, যার ফলে চালকদের প্রতিনিয়ত 'জিগজ্যাগ' পদ্ধতিতে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। যেন বাস্তব কোনো ভিডিও গেমে অংশ নিচ্ছেন তারা। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে গেছে বহুগুণে।

জানা গেছে, রাস্তা সম্প্রসারণের সময় জেলার প্রশাসন বন বিভাগে গাছ কাটার অনুমতির জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু বন বিভাগ সে অনুমতি না দিয়ে পরিবর্তে চেয়ে বসে ১৪ হেক্টর বনভূমির ক্ষতিপূরণ। প্রশাসনের পক্ষে সেই শর্ত পূরণ করা সম্ভব হয়নি।

ফলে তারা নেয় এক বিস্ময়কর সিদ্ধান্ত, গাছগুলো রেখেই তাদের চারপাশ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে ফেলা হয়!

এই গাছগুলোও আবার একই সরলরেখায় নেই। কোনোটি একটু বাঁয়ে, কোনোটি ডানে, আবার কোনোটি একেবারে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে। ফলে রাস্তার কোনো এক পাশ দিয়েই নিরবচ্ছিন্নভাবে গাড়ি চালানো সম্ভব নয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ইতোমধ্যেই এই সড়কে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এক পথচারীর ভাষায়, ‘প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছি আমরা। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাছ অপসারণে কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।’

প্রশ্ন উঠছে এই সড়কে যদি বড় ধরনের দুর্ঘটনায় কারও মৃত্যু ঘটে, তবে সেই দায়ভার কে নেবে? তবে এ প্রশ্নের উত্তর এখনো অনিশ্চিত।

সূত্র : এনডিটিভি

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন

বছর ঘুরে ফিরল সেই জুলাই 

৩৬ জুলাই বিপ্লব ও নির্মম নির্যাতনের মধ্যেও বেঁচে ফেরার গল্প

৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ / এস আলম পরিবারের তিন সদস্যসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে দুই মামলা

খুবির দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনকে কটাক্ষের অভিযোগ

রাজশাহীতে ঐতিহাসিক ‘সান্তাল হুল’ দিবস উদযাপন

২৯৫ জন অস্থায়ী কর্মীকে স্থায়ী করল চসিক

যে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলেন ইউনূস-রুবিও

করোনার ‘ভুল রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণা’, অতঃপর...

ইরানে একাধিক ইউরোপীয় নাগরিক গ্রেপ্তার

১০

ঢাবি শিক্ষার্থী সৌমিকের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা

১১

ছাত্রদল কর্মীর নেতৃত্বে হাবিপ্রবিসাসের অফিসরুম ভাঙচুর

১২

গাজাবাসীর জন্য বিশেষ ভিসা চালু করতে স্টারমারকে ব্রিটিশ এমপিদের চিঠি

১৩

পাবিপ্রবিতে শিক্ষাবৃত্তি ও গবেষণা প্রণোদনা প্রদান

১৪

ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নারীদের অবদান নিয়ে বিএনপির কমিটি

১৫

মেহেরপুরে পৃথক দুই মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

১৬

ডিএনএ বায়োল্যাব-এইচজিআরটিসির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই

১৭

এবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফোনালাপ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্তা

১৮

জবির স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় আয় ১২ কোটি টাকা  

১৯

সন্তানের কলেজ থেকে ফিরছিলেন দম্পতি, ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত

২০
X