দিল্লিতে শুরু হয়েছে জি-২০ সম্মেলন। এ উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ড্রোন উড়ানোর ওপরও। তবে এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দিল্লির আকাশে ড্রোনের দেখা মিলেছে।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দিল্লির প্যাটেল নগর এলাকায় এ ড্রোন উড়তে দেখা গেছে। শনিবার ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, শুক্রবার প্যাটেল নগর এলাকায় আকাশে ড্রোন উড়তে দেখা গেছে। এ ঘটনায় এফআইআর হয়েছে এবং পুলিশ তদন্ত করেছে। মূলত জন্মদিন উদযাপনের জন্য এ ড্রোন উড়ানো হয়েছে। একটি ইভেন্ট ফটোগ্রাফি টিম এটির ছবি তুলতে ড্রোন উড়িয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় প্রজাতন্ত্রের আইন অমান্য করায় একটি মামলা হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে এমন ঘটনা ঘটনায় দিল্লি পুলিশ এরইমধ্যে আরও কঠোর নিরাপত্তা পদক্ষেপ নিয়েছে। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ সজাগ রয়েছে।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এ সম্মেলন উপলক্ষে পুলিশ দিল্লিকে নো ফ্লাইং জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া নিরাপত্তার জন্য দিল্লিতে বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল সীমিত করা হয়েছে। নগরের বাসিন্দাদের শুক্রবার সকাল ৫টা থেকে রোববার ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত এসব এলাকা এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।
নিরাপত্তায় বিশেষ ফোর্স আজ দিল্লিতে শুরু হয়েছে জি-২০ সম্মেলন। এ উপলক্ষে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাখা হয়েছে বিশেষ ফোর্স। দিল্লি পুলিশের বিশেষ কমিশনার দীপেন্দ্র পাঠক জানান, এটি একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এজন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হোম গার্ড এবং আধা-সামরিক বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-সহ অন্যান্য সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী থেকে হাজার হাজার কর্মী আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। সম্মেলনের জন্য দিল্লি পুলিশের ৮০ হাজার সদস্যসহ মোট ১ লাখ ৩০ হাজার নিরাপত্তাকর্মী পাহারায় নিযুক্ত থাকবে।
সমন্বিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা
আকাশপথেও নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। ভারতীয় বিমান বাহিনীর একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, দিল্লি এবং নিকটবর্তী এলাকায় সমন্বিত আকাশ প্রতিরক্ষার জন্য ব্যাপক ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে। বিমান বাহিনী ছাড়াও ভারতীয় সামরিক বাহিনী, দিল্লি পুলিশ এবং আধা-সামরিক বাহিনীর আকাশপথে হুমকি রোধে ড্রোনবিধ্বংসী ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৪০০ দমকল কর্মীও মোতায়েন রাখা রয়েছেন।
স্পেশাল কমান্ডো রাজধানীতে দুদিনব্যাপী এ সম্মেলনের জন্য স্পেশাল কমান্ডো ও তিনশ বুলেটপ্রুফ গাড়ি নিয়োজিত রয়েছে। এ ইউনিট যে কোনো পরিস্থিতির মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকছে।
বাইডেনের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা
সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার সাথে রয়েছে বিশাল বহরও। এজন্য নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। তার জন্য রিজার্ভ রাখা হয়েছে ৪০০ কক্ষের আইটিসি মৌর্য শেরাটন নামের বিলাশবহুল হোটেল। হোটেলের চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করতে বিশেষ নিরাপত্তা মহড়া চালানো হয়েছে। দিল্লির ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি), সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ (সিআরপিএফ), ডগ স্কোয়াড থেকে শুরু করে দিল্লি পুলিশ সবাই নিরাপত্তার তদারকি করছে। নিরাপত্তায় প্রতি তলায় সিক্রেট সার্ভিস মোতায়েন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন