কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যুদ্ধে পরিবারের কতজনকে হারিয়েছেন গাজার প্রধান নেতা?

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা। ছবি : সংগৃহীত
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা। ছবি : সংগৃহীত

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। দেশটির এ হামলায় ৩৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে সর্বশেষ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াহও রয়েছেন।

ইরানের রাজধানী তেহরানে তাকে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (৩১ জুলাই) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর সন্তান থেকে শুরু করে পরিবারের কয়েক ডজন সদস্য হারিয়েছেন তিনি।

গত জুনে হানিয়ার পরিবারের ১০ সদস্য নিহত হন। গাজার শান্তি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তারা নিহত হন। এর আগে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পরিবারের আরও অন্তত ৬০ সদস্যকে হারান হানিয়াহ।

আলজাজিরা জানিয়েছে, গত এপ্রিলে তিন সন্তানকে হারান হানিয়াহ। হাজেম, আমির ও মোহাম্মাদ নামের তার তিন সন্তান গাড়িতে বোমা হামলায় নিহত হয়েছিলেন।

হামাস জানিয়েছে, এ ছাড়াও ইসরায়েলি হামলায় হানিয়াহের চার নাতি, তিন মেয়ে এবং আরও এক ছেলে নিহত হয়েছেন।

এর আগে আলজাজিরা জানায়, ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসমাইল হানিয়াহ গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন। ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) একটি বিবৃতি উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হানিয়াহ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) থেকে তেহরানে অবস্থান করছিলেন। হামাস নেতারা যে ভবনে অবস্থান করছিলেন সেখান থেকে বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে হানিয়াহ এবং তার একজন দেহরক্ষীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

বিষয়টি এক বিবৃতিতে হামাসও নিশ্চিত করেছে। তারা বলছে, আমাদের ভাই, নেতা, মুজাহিদ, স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার তেহরানের বাসভবনে বিশ্বাসঘাতক জায়নবাদীরা হামলা করেছে। তিনি শহীদ হয়েছেন। ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ফিলিস্তিনি জনগণ, আরব ও ইসলামি জাতি এবং বিশ্বের সব স্বাধীন মানুষের কাছে শোকের দাবি করে।

গাজা উপত্যকায় হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন ইসমাইল হানিয়া। ২০০৪ সালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শেখ আহমেদ ইয়াসিন নিহত হন। এরপর উপত্যকায় ইসমাইল হানিয়ার প্রভাব বাড়তে থাকে। এ নেতার সরাসরি রাজনীতিতে উত্থান ঘটে ২০০৬ সালের জানুয়ারির নির্বাচনের আগে। তখন মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন বিভক্ত ফাতাহ দলকে হারিয়ে চমক দেখায় হামাস। ওই নির্বাচনে সাংগঠনিক পারদর্শিতায় কর্মীদের মন জয় করেন তিনি। এর ফলশ্রুতিতে ইসমাইল হানিয়া ২০১৭ সাল থেকে হামাসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার জনপ্রিয়তায় তিনি বারবার গোষ্ঠীটির নেতা নির্বাচিত হন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৫৬০০ নতুন সেনা মোতায়েন করল ভেনেজুয়েলা

রোববার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

গোয়ায় নাইটক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু

নরসিংদীতে স্পিনিং মিলের তুলার গোডাউনে ভয়াবহ আগুন

মা-বাবা ও স্ত্রীর নামে কসম করলে কী হয়? জানালেন বিশেষজ্ঞ আলেম

৭ ডিসেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

ঢাকা-৮ আসনে সাদিক কায়েমের প্রার্থিতার খবরে যা বলছেন হাদি

নির্বাচন কোনোভাবেই ঝুঁকিতে ফেলা যাবে না : সাইফুল হক

মৃত আত্মীয়কে দেখে ফেরার পথে সড়কে লাশ হলেন শাশুড়ি-পুত্রবধূ

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ড. ওবায়দুল ইসলামের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল

১০

খালেদা জিয়ার আরোগ্য লাভের অপেক্ষায় কোটি জনতা : অপর্ণা রায়

১১

ঢাকায় রুশ গণ-কূটনীতির শতবর্ষ উদযাপন

১২

ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শক্তি ঐক্যবদ্ধ : মুফতি মোস্তফা কামাল

১৩

দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্দুকধারীদের নির্বিচার গুলি, শিশুসহ অন্তত ১২ জন নিহত

১৪

সুখে-দুঃখে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি শুভ্রার

১৫

ঘুষ নেওয়ার সংবাদ প্রকাশ / সাংবাদিককে গালি দিয়ে ভূমি কর্মকর্তার ফেসবুক পোস্ট

১৬

কুয়াশা নিয়ে যে তথ্য জানাল আবহাওয়া অফিস

১৭

নির্ধারিত সময়ের আগে অফিসে প্রবেশ, নারী কর্মীকে চাকরিচ্যুত করল কোম্পানি

১৮

শহীদ শিহাবের কবর জিয়ারতে জেলা এনসিপির নতুন কমিটির নেতারা

১৯

২-৪টা আসনের জন্য কারও সঙ্গে জোট করব না : নুর

২০
X