ইয়েমেনের সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেল থেকে সেখানে একের পর এক বোমা ফেলছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিমানবন্দরটি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিচ্ছে দখলদার বাহিনী।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, হুথি নিয়ন্ত্রিত রাজধানী সানার সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে পুরোপুরি অকেজো করে দিয়েছে তারা। একই সময় দেশটির অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হেনেছে।
ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী হুথি ইসরায়েলের ওপর বারবার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাবে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী পাল্টা আঘাত হানান সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে রোববার বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এতে ইসরায়েলে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়।
মঙ্গলবার ইয়েমেনে হামলায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর কয়েক ডজন বিমান অংশ নেয়। যার মধ্যে ছিল যুদ্ধবিমান, জ্বালানি সরবরাহকারী বিমান এবং গুপ্তচর বিমান।
অনলাইনে পোস্ট করা বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরায়েলি হামলার পর বিমানবন্দর থেকে ধোঁয়া উড়ছে। হুথি জানিয়েছে, হামলায় তিনজন নিহত এবং ৩৮ জন আহত হয়েছে। এখনও হামলা চলছে।
আইডিএফ বলেছে, বিমানবন্দরটি হুথিরা অস্ত্র স্থানান্তরের জন্য ব্যবহার করত। এটি নিয়মিত সন্ত্রাসী উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়ে আসছিল।
হামলার এক ঘণ্টা আগে আইডিএফ জরুরি সতর্কতা জারি করে। এক্স-এ একটি পোস্টে আইডিএফ-এর আরবি ভাষার মুখপাত্র কর্নেল অবিচে আদ্রাই বলেন, আমরা আপনাকে বিমানবন্দর এলাকা থেকে অবিলম্বে সরে যাওয়ার এবং আপনার আশপাশের সবাইকে এই এলাকা থেকে সরে যাওয়ার জন্য সতর্ক করছি। এ আদেশ মানার আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিকে ৪ মে থেকে আমেরিকা আল-জাওফ ও মারিবসহ বিভিন্ন প্রদেশে ৩৫টি হামলা চালিয়েছে।
মার্চ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলের যৌথ আগ্রাসনে ইয়েমেনে ১,০০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে বোমাবর্ষণ হয়েছে। এসব হামলার উদ্দেশ্য- লোহিত সাগরের পথ ব্যবহার করে ইসরায়েল বা ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজে হুতি হামলা এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনে হুতিদের প্রতিরোধ বন্ধ করা।
মন্তব্য করুন