ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে আবারও মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর বরাতে দ্য টাইমস অব ইসরায়েল এ তথ্য জানায়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ব্যালাস্টিক মিসাইল ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে। সঙ্গে সঙ্গে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয় এবং জর্ডান উপত্যকা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরে সাইরেন বেজে ওঠে।
পরে এক্স বার্তায় সেনাবাহিনী জানায়, তারা সফলভাবে মিসাইলটি ভূপাতিত করেছে। ইসরায়েলিদের ‘হোম ফ্রন্ট কমান্ডের’ নির্দেশাবলি অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি এলাকায় সাইরেন শোনার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লোকজন আপডেট জানতে জরুরি সেবা নম্বরে কল করেন। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঝুঁকি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী তৎপর। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত বা সম্পদের ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে চলতি সপ্তাহে ইসরায়েলে বেশ কয়েকবার মিসাইল হামলার চেষ্টা করা হয়। তবে ইসরায়েলি বাহিনী সেসব প্রতিহত করে।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের গাজায় ‘গণহত্যা যুদ্ধের’ প্রতিবাদে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি ইসরায়েলের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট স্থাপনায় হামলা শুরু করে। লোহিত সাগরে ইসরায়েল ও মার্কিন জাহাজে হামলার পাশাপাশি গোষ্ঠীটি মূল ভূখণ্ডে মিসাইল ছুড়ছে। কিন্তু শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণে যার বেশিরভাগ ভূপাতিত করে ইসরায়েলি বাহিনী।
এদিকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় এসব ফিলিস্তিনি নিহত হন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার ভোর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৮১ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৫৩ জনই গাজা সিটির বাসিন্দা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৯৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত এক লাখ ২২ হাজার ৯৬৬ জন।
সরকারি মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। এ ছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন