কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৫, ০৭:৪২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইরানের ভয়ে কাঁপছে ৩ আরব দেশ, উভয় সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, কাতারের আমির আল-থানি, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। ছবি : সংগৃহীত
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, কাতারের আমির আল-থানি, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। ছবি : সংগৃহীত

ইরান ইস্যুতে উভয় সংকটে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একদিকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। অন্যদিকে আরব রাষ্ট্রগুলো ইরানে হামলার তীব্র বিরোধিতা করছে। চলতি মাসের মাঝামাঝিতে মধ্যপ্রাচ্য সফরে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই সময় তিনি সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন। এই সফরে তিনটি দেশের নেতারা ট্রাম্পকে অনুরোধ করেন, ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে তার দেশ যেন কোনো হামলা না চালায়।

ইরানকে বাঁচানোর জন্য এই তিন আরব দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে এই অনুরোধ করেনি। বরং যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালালে ইরান সৌদি, কাতার এবং আমিরাতে হামলা চালাতে পারে এ আশঙ্কা থেকে তারা ট্রাম্পকে এই অনুরোধ করেন। কারণ এই তিন দেশে মার্কিন সেনাদের ঘাঁটি আছে।

ইতোমধ্যে ইরানের সামরিক বাহিনী মার্কিন সেনাদের হুমকি দিয়েছে। তারা বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যে ৫০ হাজার মার্কিন সেনা কাচের ঘরে বসে আছে। কাচের ঘরে বসে কারও দিকে পাথর ছোড়া ঠিক হবে না। শুধু তাই নয়, মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশে মার্কিন সেনাদের ঘাঁটি আছে সেসব দেশকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়েছে। তেহরান ওইসব দেশকে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে, ইরানে হামলায় যেসব দেশ থেকে মার্কিন সেনারা প্রতিক্রিয়া দেখাতে সেসব দেশে পাল্টা হামলা চালাবে ইরান।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান, আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ এবং কাতারের আমির তামিম আল থানি ট্রাম্পের কাছে আশঙ্কা করেন, যদি ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোতে কোনো ধরনের হামলা হয় তাহলে ইরান পাল্টা সৌদি, আমিরাত এবং কাতারে হামলা চালাতে পারে। দেশগুলোতে মার্কিন ঘাঁটি থাকায় তারা এ আশঙ্কা করেন।

দুই দশকেরও বেশি সময় পর সম্প্রতি ইরান সফরে গিয়েছিলেন সৌদি রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমান। তার এই সফর ছিল মধ্যপ্রাচ্যে সম্ভাব্য সংঘাত এড়াতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক উদ্যোগের অংশ। তিনি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিকে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের একটি গোপন বার্তা পৌঁছে দেন। ওই বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির আলোচনায় গুরুত্ব দিয়ে অংশ নিতে ইরানকে অনুরোধ জানানো হয়।

আরব দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানে হামলা চালাতে মানা করলেও ওয়াশিংটনের চেয়ে এখন ইসরায়েল ইরানে হামলা চালানোর ব্যাপারে বেশি আগ্রহী। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে এ বিষয়ে কঠোরভাবে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। তিনি জানান, ইরানের সঙ্গে তাদের পারমাণবিক আলোচনা বেশ ভালোভাবে এগোচ্ছে। তবে ইরান হুমকি দিয়ে রেখেছে তেহরানের ওপর হামলা হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জিয়াউর রহমানের মাজারে বিএনপির শ্রদ্ধা

বিএনপিকে ধ্বংস করতে বারবার চেষ্টা হয়েছে: মির্জা ফখরুল 

টিকটকে এবার যেসব সুবিধা যোগ হলো

মোবাইলে যেভাবে দেখবেন বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস টি-টোয়েন্টি ম্যাচ

হত্যা মামলায় সাবেক সিনিয়র সচিব জিয়াউল গ্রেপ্তার 

শুটিং শেষ করে শাহিদ কাপুরের আবেগঘন স্ট্যাটাস

৬০০ বিঘার এই বিলে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সাদা শাপলা 

ভূমিকম্পে ভয়াবহ বিপর্যয়ে আফগানিস্তান, নিহত বেড়ে ৫০০

নুরের নিরাপত্তা বিবেচনায় বিদেশে চিকিৎসার দাবি জানালেন রাশেদ 

কে এই লিভারপুলের ২০০০ কোটি টাকার স্ট্রাইকার?

১০

অনার্স চতুর্থ বর্ষের ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার সূচি পরিবর্তন

১১

বিশ্বের মুসলিমদের উদ্দেশে ইরানের প্রেসিডেন্টের বার্তা

১২

সুসজ্জিত গাড়িতে পুলিশ সদস্যের রাজকীয় বিদায়

১৩

বিদ্রোহী সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিহত, ইয়েমেনের পক্ষে ইরানের হুংকার

১৪

চোখের পাতা লাফানো কি অশুভ, নাকি কোনো রোগের লক্ষণ

১৫

সিডনিতে রুশ কনস্যুলেটের গেটে গাড়ির ধাক্কা, অতঃপর...

১৬

চবি ক্যাম্পাসে সুনসান নীরবতা

১৭

মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ওসমানীর ১০৭তম জন্মবার্ষিকী আজ

১৮

ফাইনালে হারের পর সুয়ারেজের বিতর্কিত কাণ্ড!

১৯

হাত-পায়ের ৫ লক্ষণে বুঝে নিন লিভারে সমস্যা ভুগছেন কি না

২০
X