দীর্ঘ সময়ের বিরোধের পর ক্রমেই দূরত্ব কমাচ্ছে ইরান-সৌদি আবর। সম্প্রতি দেশটি সৌদিতে নিজেদের দূতাবাস খুলেছে ইরান। তবে এবার বিপদে ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে সৌদি আরব।
সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া জানিয়েছে, দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘ সময়ের বিরোধ প্রশমন হচ্ছে। এবার লোহিত ইরানের পতাকাবাহী একটি বিপর্যস্ত জাহাজের ডাকে সাড়া দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে সৌদি আরব।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) ইরানের ওই জাহাজটির এক ক্রু অসুস্থ হয়ে পড়ায় জরুরি সাহায্য চায় তারা। এ সময় সৌদি আরবের একটি জাহাজ তাদের সাহায্যে এগিয়ে যায়। যদিও এ বিষয়ে দুই দেশের কোনো কর্মকর্তা কিছু বলেননি।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইরানের ওই জাহাজে ১২ জন সদস্য ছিলেন। তাদের মধ্যে এক ক্রু সদস্য আহত হওয়ায় সাহায্য চায়। পরে তাকে উদ্ধার করে জেদ্দার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এর আগে সাত বছর পর গত ৬ জুন সৌদি আরবে দূতাবাস চালু করে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ইরানের কনস্যুলারবিষয়ক উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলিরেজা বিকডেলি বলেন, ‘ইরান ও সৌদি আরবের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ। স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি অর্জনের জন্য এ অঞ্চল (মধ্যপ্রাচ্য) বৃহত্তর সহযোগিতা ও অভিন্নতার দিকে এগিয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।’ উল্লেখ্য, দীর্ঘদিনের বিরোধের পর গত ১০ মার্চ চীনের মধ্যস্থতায় কূটনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক আবার স্থাপনে ঐকমত্যে পৌঁছায় ইরান ও সৌদি আরব। এ নিয়ে চীনে চুক্তি স্বাক্ষরের কয়েক মাসের মাথায় সৌদি আরবে দূতাবাস খুলল ইরান। এর পরপরই বিপদে পাশে দাঁড়াল সৌদি।
মূলত সৌদি আরব সুন্নি মুসলিমপ্রধান দেশ। অন্যদিকে ইরান বৃহত্তম শিয়া মুসলিম দেশ। সৌদি আরবে প্রখ্যাত শিয়া ধর্মগুরু নিমর আল-নিমরকে ফাঁসি দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালে তেহরানে সৌতি দূতাবাস এবং দ্বিতীয় শহর মাশহাদের কনস্যুলেটে হামলা হয়। এ ঘটনার পর ২০১৬ সালে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল সৌদি আরব।
এরপর থেকে চীনের মধ্যস্থতায় কূটনৈতিক সম্পর্ক জোড়া লাগার আগ পর্যন্ত দুই দেশই মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে বিরোধী পক্ষকে সমর্থন দিয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন