কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৫, ০২:৪৮ পিএম
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৩:০১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

অবশেষে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে গাজার যোদ্ধাদের সাড়া

গাজা শহরের শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংস হওয়া আবাসিক ভবন। ছবি : সংগৃহীত
গাজা শহরের শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংস হওয়া আবাসিক ভবন। ছবি : সংগৃহীত

গাজা যুদ্ধ বন্ধে সম্ভাব্য সমঝোতার পথে বড় অগ্রগতি হয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে এবার ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে ফিলিস্তিন। মাসের পর মাস ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর শুক্রবার (৪ জুলাই) হামাসের এ ঘোষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।

যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি প্রস্তাবটি ইসরায়েল মৌখিকভাবে মেনে নিয়েছে। এখন দুপক্ষ চূড়ান্ত শর্ত নিয়ে আলোচনা শুরু করবে বলে জানিয়েছে সিএনএন। হামাস কিছু সংশোধনী চাইলেও তা বড় বাধা নয় বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি-মার্কিন মধ্যস্থতাকারী বিশারা বাহবাহ।

প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রথম দিনে হামাস আটজন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে এবং বিনিময়ে ইসরায়েল কিছু ফিলিস্তিনি বন্দি ছাড়বে। ধাপে ধাপে আরও মুক্তি এবং ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন, ‘আগামী সপ্তাহেই চুক্তি হতে পারে।’ একইসঙ্গে তিনি হামাসকে সতর্ক করে বলেন, এর চেয়ে ভালো প্রস্তাব আর আসবে না।

গোপন আলোচনার মাধ্যমে তৈরি এই প্রস্তাবের পেছনে কাতার ও মিশরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। নতুন খসড়ায় যুদ্ধবিরতির পরও আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার শর্ত এবং মানবিক সহায়তার প্রবাহ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু কিছুটা নমনীয় মনোভাব দেখিয়েছেন এবং রোববার তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানা যায়। বিশ্লেষকদের মতে, এবার তিনি জিম্মি মুক্তিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।

এদিকে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চললেও গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণহানি অব্যাহত রয়েছে। ফিলিস্তিনের দাবি অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ৫৭ হাজার ছাড়িয়েছে।

স্থায়ী চুক্তির পথে এখনও চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তবে আট মাসের সংঘাতের পর এই অগ্রগতি আন্তর্জাতিক পরিসরে স্বস্তি এনেছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেরপুরে স্কুল মাঠে মেলার আয়োজন, ক্ষোভে ফুঁসছেন তরুণরা 

অনলাইনে ইলিশ বিক্রির নিবন্ধন পেলেন ৭ উদ্যোক্তা

ভিক্ষুকের ঘরে ২ বস্তা টাকা, গুনতে লাগল ৫ ঘণ্টা 

১০ অক্টোবর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

গাজায় যুদ্ধবিরতি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়েছে 

শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

গাজা চুক্তিকে ইরান হামলার সঙ্গে যুক্ত করলেন ট্রাম্প

১০ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

নোয়াখালী বিভাগ চেয়ে ইতালিতে প্রবাসীদের স্মারকলিপি

কাবুলে বিস্ফোরণ, ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে যা বললেন জবিউল্লাহ মুজাহিদ

১০

‘ওলামা-মাশায়েখদের ত্যাগ-কোরবানি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে’

১১

যুদ্ধবিরতিতে গাজার ঘরে ঘরে আনন্দ, রাস্তায় মিছিল

১২

সচেতন হলে ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধ সম্ভব : চসিক মেয়র

১৩

২০ মাসে মামলার রায়, স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

১৪

ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারই জাতির একমাত্র লক্ষ্য : গয়েশ্বর

১৫

ঘুষি মেরে বিমানের মনিটর ভেঙে ফেললেন লন্ডন প্রবাসী

১৬

ইসরায়েলের যে কারাগারে বন্দি শহিদুল আলম

১৭

আফগানিস্তানে বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান, টিটিপি প্রধান নিহতের গুঞ্জন

১৮

বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কাবুল

১৯

এককভাবে সরকার গঠন করবে বিএনপি : এমরান চৌধুরী

২০
X