ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র হুতি বাহিনী। হামলায় একাধিক ‘পালেস্টাইন-২’ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে এবং সেগুলো সফলভাবে টার্গেটে আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি।
ইয়েমেনের আল মাসিরা টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, জেনারেল ইয়াহিয়া সারি জানান, মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট দখলকৃত ইয়াফার লড এলাকায় অবস্থিত বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে হামলা চালায়।
তিনি জানান, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সফলভাবে টার্গেটে আঘাত হেনেছে। এতে বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আঘাতের পর হাজার হাজার ইসরায়েলি ভয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি জানাতে, গাজা অবরোধের প্রতিবাদে এবং আল আকসা মসজিদে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিশোধ হিসেবে।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন ও অবরোধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইয়েমেনের সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ইসরায়েলের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় দখলকৃত ভূমির মধ্যাঞ্চল ও জেরুজালেমে সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠে। যদিও ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে- তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আটকাতে সক্ষম হয়েছে, তবুও হামলার কারণে বিমানবন্দরের কার্যক্রম দীর্ঘ সময় অচল হয়ে পড়ে।
এই ঘটনার মাত্র দুই দিন আগে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী তেলআবিব, আশকেলন এবং ইলাত শহরে ৩টি ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করেছিল। তাদের স্পষ্ট ঘোষণা—ইসরায়েলের স্থল ও আকাশ হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এবং গাজার অবরোধ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত, এই প্রতিশোধমূলক ও সংহতিমূলক অভিযান চলবে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলের চলমান হামলা ইতোমধ্যেই ৬১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, যাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক নারী ও শিশু। এছাড়া গাজায় খাবারের অভাবে দুর্ভিক্ষ অবস্থা বিরাজ করছে।
সূত্র : প্রেস টিভি
মন্তব্য করুন