যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে নিজেদের হাতে থাকা সব জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। এরপর কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিতে শুরু করেছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে ৩ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোমবার দুই ধাপে এই কারাবন্দিরা মুক্তি পান। তাদের কড়া নিরাপত্তায় গাজায় ও ফিলিস্তিনের অপর অংশে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় কারাগার দপ্তরের জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, প্রথম ব্যাচে ছিলেন প্রায় ২ হাজার। তারা ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর অঞ্চলের রাজধানী রামাল্লার পশ্চিমাংশে ইসরায়েলের মালিকানাধীন ‘ওফের’ কারাগারে বন্দি ছিলেন।
গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে, কারাবন্দিরা যেসব বাসে চেপে এসেছেন তা আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (আইসিআরসি) সরবরাহ করেছে। সোমবার স্থানীয় সময় দুপরের দিকে বেশ কয়েকটি বাসে চেপে ওফের কারাগার থেকে পশ্চিম তীরের বেইতুনিয়া শহরে এসে পৌঁছেছেন এই কারাবন্দিরা।
আর গাজার খান ইউনিস শহরে এসে পৌঁছে দ্বিতীয় ব্যাচ। এদের মধ্যে ১ হাজার ৭১৮ ফিলিস্তিনি কারাবন্দি দক্ষিণ ইসরায়েলের নাগেভ কারাগারে ছিলেন। তাদের ওপর চরম নির্যাতন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ধ্বংসস্তূপে পরিণত গাজা সিটিতে ফিরতে শুরু করেছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। তবে এখনো তীব্র খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য জরুরি সহায়তার সংকট রয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ ও স্থানীয় কর্মকর্তারা।
গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৬৭ হাজার ৮০৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং প্রায় ২০০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।
মন্তব্য করুন