‘ফাত্তাহ’ নামের ইরানের একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পশ্চিমা বিশ্বসহ ইসরায়েলের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি উন্মোচনের পর ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়, এটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে আঘাত হানতে পারবে, যা পশ্চিমা দেশগুলোসহ ইসরায়েলের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে যাচ্ছে।
এদিকে, ক্ষেপণাস্ত্রটি উন্মোচনের খবর দিতে গিয়ে ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো ইরানি গণমাধ্যমের দেওয়া হুমকির দিকে গুরুত্ব দেয়। কারণ, এ ক্ষেপণাস্ত্রটি ৪০০ সেকেন্ড, অর্থাৎ প্রায় ৭ সেকেন্ডের মধ্যেই ইসরায়েলে পৌঁছাতে সক্ষম বলে জানিয়েছিল ইরানি গণমাধ্যমগুলো।
আজ বুধবার সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ক্ষেপণাস্ত্রটির নামকরণ করেন ‘ফাত্তাহ’। এর অর্থ হলো ওপেনার। ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতি সেকেন্ডে ৫ হাজার ১৪৫ মিটার গতিতে চলতে পারে। এর রেঞ্জ হলো এক হাজার ৪০০ কিলোমিটার।
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের এরোস্পেস প্রধান আমির আলি হাজিজাদেহ বলেন, ‘ফাত্তাহ বিভিন্ন দিক ও উচ্চতায় চলাচল করতে পারে। এ জন্য একে অন্য কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে পারবে না।’
ইরান বলছে, শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ বা তার চেয়ে বেশি গতিতে চলাচল করতে পারে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। ফলে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও রাডারের পক্ষে এসব ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করা কঠিন।
এর আগে রাশিয়া ও চীন হাইপারসনিক অস্ত্র প্রদর্শন করে। ধারণা করা হয়, রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যেই এর পরীক্ষা চালিয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালেও দুই প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন