ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় খাবার, পানি ও ওষুধ নিয়ে আরও ১০টি ট্রাক প্রবেশ করেছে। একই সঙ্গে সেখানে ১০ জন বিদেশি চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিকেল টিমও প্রবেশ করেছে। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে এসব ত্রাণসহায়তা ঢুকেছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
শুক্রবারের ১০ ট্রাক ত্রাণসহায়তা নিয়ে ৭ অক্টোবরের পর গাজায় মাত্র ৮৪টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করল।
ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই গাজায় পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি অবরোধের কারণে সেখানে চরম মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। তাদের অবরোধের কারণে সেখানে বাইরে থেকে কোনো সহায়তা প্রবেশ করতে না পারায় এই অঞ্চলে খাদ্য, ওষুধ ও পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গত শনিবার রাফাহ ক্রসিং প্রথবারের মতো মাত্র ২০ ট্রাক ত্রাণসহায়তা প্রবেশ করে।
২৩ লাখের মানুষের জন্য এত স্বল্প পরিমাণ সহায়তা নিয়ে তখনই হতাশা প্রকাশ করেন গাজাবাসী। তারা বলছেন, এত স্বল্প পরিমাণ ত্রাণসহায়তা এসেছে যে তা ‘মহাসমুদ্রে এক ফোঁটা পানির মতো’।
স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন, ইসরায়েলি বোমা হামলায় হাজার হাজার মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে আসছে। তাদের চিকিৎসায় সরঞ্জাম প্রয়োজন। হাসপাতালে জেনারেটর সচল রাখতে জ্বালানির প্রয়োজন।
এদিকে ইসরায়েলি এই অবরোধের কারণে গাজায় আরও অনেক মানুষ নিহত হবে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। বিশ্ব সংস্থাটি বলছে, ফিলিস্তিনি এই অঞ্চলের মৌলিক পরিষেবা ব্যবস্থা ধসে পড়ছে।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, গাজার মানুষ শুধু বোমা ও হামলার কারণেই মারা যাচ্ছে না, অবরোধের কারণে শিগগিরই আরও বহু মানুষের মৃত্যু হবে।
তিনি বলেন, গাজায় মৌলিক পরিষেবা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। ওষুধ-পানি ফুরিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন