ইসরায়েলি হামলার মধ্যে ওষুধ ও জ্বালানির অভাবে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় দুই হাসপাতালে নতুন রোগী নেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার (১৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
হাসপাতাল দুটি হলো আল-শিফা ও আল-কুদস হাসপাতাল। গতকাল রোববার পৃথকভাবে এই তথ্য জানিয়েছে।
আল-শিফা হাসপাতালে কর্মরত নিউরোসার্জন ডা. নিদাল আবু হাদরাউস বলেছেন, হাসপাতালে বিদ্যুৎ নেই। বের হওয়ার রাস্তা নেই। রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্যে আছেন।
তিনি আলজাজিরাকে বলেন, এভাবে বেশিক্ষণ চলতে পারে না। কর্মী ও রোগীদের বাঁচাতে জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বলেছেন, আল-শিফা হাসপাতালের পরিস্থিতি ভয়াবহ ও বিপজ্জনক। হাসপাতাল যখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়ে যায় তখন বিশ্ববাসী নীরব থাকতে পারে না।
গত শুক্রবার থেকে গাজার বেশ কয়েকটি হাসপাতালের আশপাশের এলাকা ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, শুক্রবারের পর থেকে আল-শিফা হাসপাতালে তিন নার্স নিহত হয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যুতের অভাবে জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুজন অপরিণত শিশুসহ ১২ রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
মন্তব্য করুন