অপারেশন আল-আকসা ফ্লাডে অংশ নিয়ে প্রতিদিনই ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হিজবুল্লাহর সেনারা। প্রতিক্রিয়ায় লেবাননের অভ্যন্তরে বেসামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
তবে এখন পর্যন্ত যুদ্ধের নতুন কোনো অংশ হিসেবে লেবাননকে লক্ষ্যবস্তু করছে না তেলআবিব। যদিও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে হিজবুল্লাহর হামলায় বেশ কয়েকজন সেনা ও সামরিক যান হারিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহু প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়ছে লেবাননে আনুষ্ঠানিক হামলা শুরু করার। এমনকি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন হিজবুল্লাহ লেবাননকে এ যুদ্ধে টেনে আনছে।
রোববার ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে গ্যালান্ট জানান, হিজবুল্লাহ যদি ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা চালিয়ে যায় তবে বৈরুতে তাই করা হবে যা গাজায় করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, হিজবুল্লাহ যদি হামাসের মতো একই ধরনের ভুল করে তবে তাদের প্রথমেই এর মূল্য পরিশোধ করতে হবে। আর যারা সর্বপ্রথম ইসরায়েলি হামলার শিকার হবে তারা হলো লেবাননের নাগরিকরা। আমরা বৈরুতে সেভাবেই হামলা করব যেভাবে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী হামলা করে যাচ্ছে।
এদিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নতুন করে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। শনিবার দেওয়া এক ভাষণে হিজবুল্লাহ প্রধান জানান, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সংগঠনটির অভিযান চলমান থাকবে।
এ সময় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নুতন ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের ঘোষণাও দেন নাসরুল্লাহ। জানান, এসব হামলায় সশস্ত্র ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা চালাতে প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হয়েছে বুরকান ক্ষেপণাস্ত্র। লেবাননের এই নেতা জানান, যুক্তরাষ্ট্র একমাত্র দেশ যারা গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধ করতে পারে। কিন্তু নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেয় না। শনিবারের ভাষণে গাজার চলমান যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের ওপর ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলা অব্যাহত থাকবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন নাসরুল্লাহ। জানা যায়, ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত গোষ্ঠীটির ৭০ জনের বেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
মন্তব্য করুন