যুদ্ধের মধ্যে আলোচনায় বসেছে হামাস-ইসরায়েল। কাতারের মধ্যস্থতায় বন্দি বিনিময় নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। বিষয়টি বেশ এগিয়ে যাওয়ায় বন্দিদের তালিকা শুরু করেছে হামাস ও ইসরায়েল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের দুটি সূত্র জানিয়েছে, এ চুক্তির আওতায় মুক্তি পেতে যাওয়া বন্দিদের তালিকা করছে হামাস ও ইসরায়েল।
চুক্তির বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, চুক্তিটি অবশ্যই অর্জনযোগ্য। এটা খুব কাছাকাছি চলে এসেছে।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলের কারাগার থেকে ফিলিস্তিনিদের মুক্তির জন্য বিষয়টি প্রথমে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করতে হবে। সেখানে অনুমোদনের পর বিষয়টি ইসরায়েলের পূর্ণ মন্ত্রিসভার অনুমোদন দরকার হবে। তবে এসব প্রক্রিয়া টেলিফোনের মাধ্যমে খুবই দ্রুততম সময়ের মধ্যে করা সম্ভব হবে।
এদিকে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধের মধ্যে সুসংবাদ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। হামাসের সঙ্গে জিম্মিদের বিনিময় চুক্তি বেশ অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সঙ্গে আলোচনাকালে এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু বলেন, আমি মনে করি না যে, এটা বাড়িয়ে বলা হবে না। আমি আশা করছি, খুব শিগগিরই ভালো খবর আসবে।
এর আগে হামাস জানিয়েছে, কাতারের মধ্যস্থতায় গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কাতারের এক সরকারি কর্মকর্তা জানান, যুদ্ধবিরতি চুক্তির কাছাকাছি রয়েছে। এটি একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাতেই অথবা আগামীকাল সকালের মধ্যেই হামাস-ইসরায়েল চুক্তির ঘোষণা আসতে পারে।
মন্তব্য করুন